| মঙ্গলবার, ০৭ মার্চ ২০১৭ | প্রিন্ট
বিচারিক আদালতে সাফাই সাক্ষ্যের জন্য থাকা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি পুনরায় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি জমা দেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মো. জাকির হোসেন ভূইয়া।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামীকাল বুধবার মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
মামলাটি বর্তমানে বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা সংলগ্ন বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আগামী ৯ মার্চ মামলাটিতে আসামিপক্ষের সাফাই সাক্ষীর জেরার জন্য দিন ধার্য রয়েছে। তবে এই আদালতের বিচারকের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে গত ৮ ফেব্রুয়ারি একটি আবেদন করেছেন। যেখানে মামলাটি অন্য আদালতে স্থানান্তরের আরজি জানানো হয়। সেই আবেদনের শুনানি গত ০৫ মার্চ শেষ হয়েছে। আগামী ৮ মার্চ এ বিষয়ে রায় দিবেন আদালত। ওই মামলার রায়ের আগের দিন তিনি মামলাটির অভিযোগের বিষয়টি পুন তদন্ত চেয়ে আবেদন করলেন।
জাকির হোসেন ভূইয়া জানান, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ টাকা এসেছে সৌদি আরব থেকে। প্রকৃতপক্ষে এই অর্থ এসেছে কুয়েত থেকে। কুয়েতের আমির অরফানেজ ট্রাস্টের জন্য টাকাটা দিয়েছেন। যেই টাকা লাভসহ প্রায় পৌনে ছয় কোটি এখনো ট্রাস্ট ফান্ডে জমা রয়েছে।
আইনজীবী বলেন, টাকা কোথা থেকে এসেছে তার তদন্ত করার জন্য বিচারিক আদালতে আমরা আবেদন করেছিলাম। কিন্তু সেই আবেদন গত ২ ফেব্রুয়ারি খারিজ করে দিয়েছে। যার বিরুদ্ধে আমরা হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেছি।
জাকির হোসেন জানান, একই সময়ে কুয়েতের আমির চার কোটি ৪৪ লাখ ৮১ হাজার ২১৬ টাকা প্রদান করেন। এর মধ্যে দুই কোটি ১০ লাখ টাকা অরফানেজ ট্রাস্টের নামে থাকলেও বাকি টাকা বাগেরহাটের জিয়া মেমোরিয়াল ট্রাস্টকে দেয়া হয়েছে। মেমোরিয়াল ট্রাস্টে খালেদা জিয়া নাই বলে তাদের কোনো অভিযোগ নেই বলে দাবি করেন এই আইনজীবী। তবে তিনি অভিযোগ করেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে খালেদা জিয়া নমিনি থাকায় তাকে রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্যই এই অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
খালেদা ছাড়াও এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান।
Posted ০৭:০৪ | মঙ্গলবার, ০৭ মার্চ ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain