নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ০৮ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট
সব ধরনের চাঁদাবাজি, ফুটপাত দখল, অবৈধ স্থাপনা, সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং ও মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ প্রশাসন, গণমাধ্যম, রাজউক এবং সিটি কর্পোরেশনের আরও সক্রিয় সহযোগিতা কামনা করেছেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. খসরু চৌধুরী।
আজ সকালে উত্তরায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে খসরু চৌধুরী বলেন, জনগণ অনেক প্রত্যাশা নিয়ে আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। তাই তাদের কল্যাণে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের বিষয়ে আজকে আপনাদের অবহিত করব। প্রথমেই বলতে চাই, কয়েকটা দিন পরেই শুরু হবে পবিত্র রমজান মাস। এই মাসে ঢাকা-১৮ আসনের অন্তর্গত কোনো মার্কেট বা বাজারে, কারসাজি করে কোনো নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না।
আপনারা দেখেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন অবৈধ মজুতদাররা বাজার অস্থির করছে। তাই কোনো পণ্য অতিরিক্ত মজুত করে কিংবা বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কেউ কারসাজি করলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন মার্কেট কমিটিকে জবাবদিহিতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, উত্তরা, উত্তরখান এবং দক্ষিণখানসহ আমার সংসদীয় আসন ঢাকা-১৮ এর বিভিন্নস্থানে চলছে নীরব চাঁদাবাজি। ফুটপাত দখল করে দোকান বা ভ্যান বসিয়ে অনেকে চাঁদা তুলছেন। আবার কেউ ব্যস্ত রিকশা বা অটো থেকে চাঁদা তুলতে। আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এসব চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। চাঁদাবাজরা যে দলেরই হোক, তাদের প্রতিহত করতে হবে। এরইমধ্যে আমি এসব চাঁদাবাজি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছি। তবে পুরোপুরিভাবে এসব চাঁদাবাজি বন্ধে আমি কাউন্সিলর এবং প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। একইসঙ্গে এই এলাকায় রেললাইনের পাশের সরকারি জমিতে কিংবা রাজউকের অনেক জায়গায় অবৈধ মার্কেট বা স্থাপনা করে দখল করে রেখেছে স্বার্থান্বেষী মহল। দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা জরুরি। এ বিষয়ে আমি রাজউক এবং সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতা ও দৃশ্যমান পদক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।
একইসঙ্গে আমার এলাকার সব ফুটপাতকে অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করতে চাই। এজন্য কাউন্সিলর এবং প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হয়ে আমাকে সহযোগিতা করার দাবি জানাচ্ছি। আমি এসবের বিরুদ্ধে তৎপরতা শুরু করেছি। কাউকে ছাড় না দিয়ে সবার সহযোগিতায়, দখলদার ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে আমার অভিযান চলবে ইনশাআল্লাহ।
এ সংসদ সদস্য আরও বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও, স্থানীয় নেতৃত্বের দুর্বলতায় আমার ঢাকা ১৮ আসনের রাস্তাঘাটের তেমন উন্নয়ন হয়নি। আমি সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে এ বিষয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছি। ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলামও আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন। এরইমধ্যে অনেক রাস্তায় কাজ শুরু হয়েছে। তাই জনগণকে বলবো, একটু ধৈর্য ধরুন। দক্ষিণখান, উত্তরখানসহ এই এলাকার সব রাস্তাঘাটের উন্নয়নে, মেয়রের চিন্তা ও পরিকল্পনাকে আমি বাস্তবায়ন করব।
আপনারা জানেন, সম্প্রতি বেইলি রোডে ঘটে গেছে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ড। এ ধরনের ঘটনা থেকে বাঁচতে, সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন ব্যবসা পরিচালনায় সঠিক নিয়ম কানুন নিশ্চিত করা জরুরি। সেক্ষেত্রে ঢাকা-১৮ আসনে রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের নজরদারি বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি।
মো. খসরু চৌধুরী বলেন, এখন বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় নতুন আতঙ্কের নাম কিশোর গ্যাং। কিছু গডফাদার এবং অসাধুচক্র এদেরকে মাদক বিক্রিসহ নিজেদের নানা স্বার্থে ব্যবহার করছে। কিশোর গ্যাং এর উৎপাতে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ। দিনে দুপুরে বিক্রি হচ্ছে ইয়াবাসহ নানা ধরনের মাদক। তাই এদের প্রতিহত করতে হবে। এজন্য মাদক, সন্ত্রাস এবং কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আরও জোরালো ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।
Posted ০৬:৪৭ | শুক্রবার, ০৮ মার্চ ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain