| মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
শাহরিয়ার মিল্টন, শেরপুর : অধিক লাভের আশায় শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে গ্রীষ্মকালীন আগাম টমেটো চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। টমেটোর ফলন ও বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় টমেটোর দামও এখন চড়া। আশাতীত দাম পেয়ে কৃষকরাও খুশি। তাদের সাফল্য দেখে অন্য কৃষকরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের অর্থায়নে এ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৬০ শতাংশ জমিতে প্রায় ২০টি প্রদর্শনী প্লটে গ্রীষ্মকালীন বারি টমেটো-৮ চাষ হয়েছে। শীতকালিন এই টমেটো গ্রীষ্মকালে বাজারে বিক্রি হওয়ায় এর চাহিদাটাও বেশ ভালো। এই টমেটো স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে শেরপুর জেলাসহ পাশ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে সাধারণত শীতকালে টমেটোর উৎপাদন হয়। কিন্তু বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত গ্রীষ্মকালীন টমেটো অসময়ে উৎপাদন হয়। এর চাহিদা বেশি থাকায় কৃষকরা ভালো দাম পান। আর্থিকভাবে তারা লাভবান হওয়ায় টমেটো চাষে বাড়ছে আগ্রহ।
ঝিনাইগাতী উপজেলার উত্তর ধানশাইল গ্রামের কৃষক মো. মতিউর রহমান বলেন, উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমি চলতি মৌসুমে ৩ শতাংশ জমিতে বারি টমেটো-৮ জাতের টমেটো চাষ করেছি। জুন মাসের প্রথম দিকে টমেটো চারা রোপণ করেছিলাম। এখন টমেটো পেকেছে, ফলনও ভালো হয়েছে। প্রথম চাষ করেই আশানুরূপ ফলন হওয়ায় আগামী বছর এক একর জমিতে টমেটো চাষাবাদের পরিকল্পনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন, বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার নানান জটিলতা থাকলেও গ্রীষ্মকালীন টমেটোর ভালো ফলন হয়েছে। বেশ লাভজনক হওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের এই টমেটো চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। এখানকার মাটিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের সম্ভাবনা রয়েছে।
Posted ০৯:২৬ | মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin