| রবিবার, ২৯ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
আল আমিন মন্ডল (বগুড়া জেলা প্রতিনিধি) : বগুড়া গাবতলী’র পল্লীতে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে ১০ম শ্রেণীর এক মেধাবী ছাত্রীকে বেদমভাবে পিটিয়েছে এক বখাটে যুবক। প্রতিবাদ করতে গেলে ছাত্রী জেসি (১৫) ও তাঁর মা নাছমা বেগম (৩৫) কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। আহত ছাত্রী ও তাঁর মা গাবতলী উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত ২৬ জানুয়ারী এ ঘটনা ঘটে নেপালতলী ইউনিয়নে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ছাত্রী গাবতলী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
জানা গেছে, গাবতলী নেপালতলী’র পারকাকড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের কন্যা সুমাইয়া ইসলাম জেসি (১৫) সুখানপুকুর এমআরএম হাইস্কুলে বিজ্ঞান বিভাগে ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী (ক্লাস রোল নং-১)। মেধাবী এই ছাত্রীকে একই গ্রামের নুরুল ইসলামের বখাটে পুত্র রুহুল আমিন রুয়েন (২৩) দীর্ঘদিন থেকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে রাঁস্তা পথে বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যেক্ত করে আসছিল। কিন্তু প্রেমে সাড়া না পেয়ে রুয়েন ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।
গত ২৬ জানুয়ারী বিকেলে জেসি ও তার বান্ধবী’সহ স্কুল থেকে ভ্যান যোগে বাড়ী ফিরছিল। পথিমধ্যে কুড়িরপাড়া নামকস্থানে পৌঁছালে সেখানে রুয়েন ভ্যান গাড়ী থামিয়ে দেয়। এরপর জেসিকে শেষ বারের মত প্রেমের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু জেসি প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হলে উভয়ের মধ্যে তর্কবিতর্ক সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বখাটে রুয়েন এলোপাতারী ভাবে জেসিকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারে। এরপর জেসিকে গলাটিপে শ্বাঁসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বান্ধবী ও ভ্যানচালক বাঁধা দিলে জেসি প্রাণে রক্ষা পায়।
বিষয়টি অভিভাবকদের জানালে রুয়েন আবারও জেসির উপর চড়াও হয়। এ সময় বাঁধা দিতে এলে জেসির মাকে বেদমভাবে পিটিয়ে জখম করে। জেসি ও তাঁর মা এখন গাবতলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় গাবতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মনিরুজ্জামান ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজার রহমান মজনু গতকাল শনিবার হাসপাতালে গিয়ে জেসি ও তাঁর মায়ের খোঁজ-খবর নেয়।
Posted ১১:৫৯ | রবিবার, ২৯ জানুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin