খালেদা জিয়ার জামিন না হওয়া সরকারের সুদুরপ্রসারী ঘটনাবর্তের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আজও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন না হওয়া সরকারের সুদুরপ্রসারী ঘটনাবর্তের অংশ। দেশের জনগোষ্ঠীর আস্থার প্রতীক বেগম খালেদা জিয়ার জামিনে বারবার বাধা দেয়ায় বাংলাদেশ এখন আশঙ্কা ও আস্থাহীনতায় ভরা এক অচেনা ভূখণ্ড হয়ে উঠছে। কারণ জনসমর্থিত নেত্রী কারাগারে। আর দুর্নীতি, সন্ত্রাস, দখল, লুটপাট যাদের যাপনসঙ্গী তারাই আজ রাষ্ট্রক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছে। কয়েক যুগের বিবর্তনে বাকশালের প্রেতাত্মা এখন ভীষণ মূর্তি ধারণ করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে গণতন্ত্রের ধ্বংস সাধন করে গণতন্ত্রের প্রতীক বেগম জিয়াকে কারাগারে রাখা হয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আওয়ামী সরকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাকে উপেক্ষা করে চক্রান্তের বদ্ধ চোরাগলিতে হাঁটছে। সরকার ও সরকার প্রধানের কারণেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পাচ্ছেন না। তারাই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিতে বাধা প্রদান করছে। বেগম জিয়ার মুক্তিতে সরকারের প্রতিহিংসার মনোভাব থাকায় এক নিষ্ঠুর স্কীম অনুযায়ী তারা কাজ করছে। ক্ষমতার মোহে অন্ধ উন্মত্তের মতো আচরণ করছে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিতে বাধা দিয়ে।’

রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতার সুউচ্চ বলয়ে অবস্থান করে দম্ভে ও গর্বে আত্মস্ফীত শেখ হাসিনা পতনের ভূমি দেখতে পাচ্ছেন না বলেই বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে রেখেছেন। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে করায়ত্ত করে কোন চক্রান্ত সফল হবে না। বেগম জিয়াকে নিয়ে সরকারের সকল চক্রান্ত প্রতিহত করতে জনগণ ও দল আজ ঐক্যবদ্ধ ও অগ্রগামী। বেগম জিয়ার জীবন নিয়ে সরকারের গভীর ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণ সচেতন। বেগম খালেদা জিয়াকে এই মূহুর্তে নি:শর্ত মুক্তি দিতে হবে।’

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘গত পরশু রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এছাড়া আজ উচ্চ আদালতের ফটক থেকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও গত পরশু রাতে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকে গ্রেপ্তারের ঘটনারও আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’