| রবিবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফলে বিএনপির হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে দাবি করেছেন দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান। তিনি বলেন, এ নির্বাচনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সংসদীয় গণতন্ত্র, ধ্বংস হয়েছে নাগরিকদের ভোট দেয়ার অধিকার। নাগরিকরা হারিয়েছে রাষ্ট্রের মালিকানা। সমস্ত রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতির মাধ্যমে দেশের ও গণতন্ত্রের সর্বনাশ করেছে এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য এই সরকারকেই মহাবিপর্যয়ের সম্মুখিন হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।
শনিবার খুলনায় ‘জাতীয় নির্বাচন ২০১৮ : অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খুলনা প্রেসক্লাবের সাংবাদিক আলহাজ লিয়াকত আলী মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি খুলনা বিভাগের ব্যানারে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
একাদশ সংসদ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেবার কারণে শাসক দলের রোষানলে পড়ে ক্ষতির শিকার তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশের প্রতিটি বিভাগে সাংগঠনিক সফর ও সভা করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। সাত বিভাগীয় সদরের জন্য পৃথক পৃথকভাবে গঠিত হয় সাতটি কমিটি। খুলনা বিভাগীয় সভার মাধ্যমে এ কার্যক্রমের সূচনা হলো।
খুলনার এ সভায় জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে খুলনা বিভাগের নেতৃবৃন্দ, বিভাগের ১০ জেলা ও এক মহানগর কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ, বিভাগের ৩৬টি আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিকারী প্রার্থীরা বক্তব্য দেন।
বিএনপি নেতা মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘এ দেশে যদি প্রথম কেউ সংসদীয় গণতন্ত্রকে হত্যা করে তবে সেই দলটি হলো আওয়ামী লীগ। এরা কখনোই জনগনের ওপর আস্থাশীল নয় বলেই যেকোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলে রাখতে চায়। ৭৩ এর নির্বাচনের পর তারা একদলীয় শাসন কায়েম করেছিল। যা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। আর বেগম খালেদা জিযা সংসদীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেছিলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ গোটা রাষ্ট্র শক্তিকে পৈশাচিক কায়দায় ব্যবহার করেছে।’
শাহজাহান বলেন, ‘অনেকেই মনে করেছিলেন ১৪ সালের নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপি ভুল করেছিল। কিন্ত এবারের ভোটের মধ্য দিয়ে সেই ভুল ভেঙেছে। প্রমাণ হয়েছে আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী দল এবং তাদের অধীনে কোনো অবাধ সুষ্ঠু ভোট হতে পারে না।’
বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনকে সর্বোচ্চ গুরুত দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য, দলের জন্য তার ত্যাগের তুলনায় আমাদের ত্যাগ কিছুই নয়। তিনি মুক্তি পেলেই গণতন্ত্র মুক্তি পাবে, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে আসবে।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে এবং সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও জয়ন্ত কুমার কুন্ডুর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মশিউর রহমান, উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক সোহরাবউদ্দিন প্রমুখ।
Posted ১৫:৪৯ | রবিবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain