| শুক্রবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
এখন রাজনৈতিক বিরোধী দলের মিছিল দেখামাত্রই গুলি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার বিকালে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নয়াপল্টনে সংগঠনটির শোভাযাত্রার পূর্বে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভালো করেই জানেন অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচন হলে তিনি জিততে পারবেন না। তাই বিরোধীদলের নেতাকর্মীদেরকে হত্যা করছেন।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত নিয়ে যে কথা বলেছিলেন সেটাকে মিথ্যা ভাবার কারণ নেই। পরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের এখন বাস্তবায়ন দেখছি।
২২ আগস্ট থেকে সারাদেশে বিএনপি জনবান্ধব কর্মসূচি পালন করছে উল্লেখ করে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি সারাদেশে কর্মসূচি পালন করছে। সরকার জনগণকে দুর্ভিক্ষের মধ্যে ফেলে দেয়ার যে ষড়যন্ত্র করেছে তার প্রতিবাদে আমাদের কর্মসূচি চলছে। এটা তো কোনো ব্যক্তিগত কর্মসূচি ছিল না। কিন্তু এই কর্মসূচিও বানচাল করার জন্য সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও তার দলীয় ছাত্রলীগ যুবলীগ সারাদেশ রক্তাক্ত করেছে। তিনজনকে হত্যা ও অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করেছে।
সরকারের কড়া সমালোচনা করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, এখন মিছিল মিটিং দেখামাত্রই গুলি করা হচ্ছে। সামান্য একটা মিছিল মিটিং এর মতো কর্মসূচিতে সরকার গুলি করছে। সেই গুলির আঘাতে কারও চোখ নষ্ট আবার অনেকেই পঙ্গুত্ববরণ করছে। ওরা (সরকার) কখনও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করে না, নির্দলীয় নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। ওরা অন্যের ওপর ভর করে আবার ও ক্ষমতায় থাকতে চায়। অন্যের আশ্রয়ে, অন্যের সমর্থনে ক্ষমতায় থাকতে চায়। ওনার (সরকারের) পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগেই বলেছেন এসব কথা কথা।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী পার্শ্ববর্তী দেশে গিয়েছিলেন, যেতেই পারেন। তার কয়েকদিন আগে তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে কথা বলেছিলেন সেটা যে মিথ্যা ছিল এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য অন্য কোনো পদ্ধতি নিতে হবে।পরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য এখন বাস্তবায়ন হওয়া দেখছি।
রিজভী আরও বলেন, মানুষ প্রত্যাশা করে ভারতের সাথে আলোচনা করলে কমপক্ষে সীমান্ত হত্যার বিষয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু এটা নিয়ে অবৈধ প্রধানমন্ত্রী কোনো আলোচনা করেননি। পৃথিবীর কোনো সীমান্ত এত রক্তাক্ত নয়, যত রক্তাক্ত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। সীমান্তে পাখির মতো মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই বিষয়ে তো কখনও একটু প্রতিবাদ করেন না?তিস্তা নদীর পানি আপনি আনতে পারবেন না। তাহলে চুক্তি হয়েছে কী? কার্পেটের তলায় কী চুক্তি হয়েছে সেটি তো আপনি (প্রধানমন্ত্রী) বাংলাদেশের জনগণকে জানাবেন না। জনগণ যেটাকে সাদা মনে করে, আপনি সেটাকে কালো মনে করেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। আরো বক্তব্য রাখেন সেলিমা রহমান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।
Posted ১৭:১৬ | শুক্রবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain