এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে আজ। রবিবার সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। বিকালের পরীক্ষা হবে দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত।

সারাদেশে ১১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৬ পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, একটি মাদ্রাসা ও একটি কারিগরি বোর্ডের অধীনে এ পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এবার আট হাজার ৮৬৪টি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা দুই হাজার ৪৯৭টি কেন্দ্রের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। বিদেশে সাতটি কেন্দ্রে ২৭১ পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।

রবিবার প্রথম দিন সকালে এইচএসসিতে বিভিন্ন বোর্ড অনুয়ায়ী বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র, সহজ বাংলা প্রথমপত্র, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথমপত্র, বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র (ডিআইবিএস) নামে পরীক্ষা হবে। আলিমে কুরআন মাজিদের পরীক্ষা হবে। কারিগরিতে সকালে বাংলা-২ (১১২১) ও বিকালে বাংলা-১ (১১১১) বিষয়ের পরীক্ষা হবে।

লিখিত (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা শেষ হবে ১৫ মে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৬ মে শুরু হয়ে শেষ হবে ২৫ মে।

এ বছর পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষা কক্ষে প্রবেশ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনী (এমসিকিউ) পরে রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে।

পরীক্ষায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী ও যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থী ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় দেওয়া হবে।

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (অটিস্টিক ও ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত) পরীক্ষার্থীরা ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় ও পরীক্ষার কক্ষে অভিভাবক বা শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রমতে, এবার মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে ৯ লাখ ৮২ হাজার ৭৮৩, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ৯৯ হাজার ৩২০, কারিগরি বোর্ডের অধীনে ৯৬ হাজার ৯১৪ ও ডিআইবিএসে (ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ) চার হাজার ৬৬৯ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে। মোট অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীর মধ্যে এবার ছাত্র ছয় লাখ ৩৫ হাজার ৬৯৭ ও ছাত্রী পাঁচ লাখ ৪৭ হাজার ৯৮৯ জন। এ বছর মোট ২৬টি বিষয়ের ৫০টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে।