| রবিবার, ০২ আগস্ট ২০২০ | প্রিন্ট
মুসলমানদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও ঢাকাসহ সারাদেশে চলছে পশু কোরবানি। রবিবার ঈদের দ্বিতীয় দিনে রাজধানী ঢাকায় অনেকেই পশু কোরবানি দিচ্ছেন। তবে গতকালের তুলনায় এর সংখ্যা অনেক কম।
ইসলামের বিধান অনুযায়ী, ঈদের দিন ছাড়াও জিলহজ মাসের ১১ তারিখ (দ্বিতীয় দিন) এবং ১২ তারিখ (তৃতীয় দিন) দিনেও পশু জবাই করা যায়। যদিও বেশিরভাগ মানুষই ঈদের দিনটিকে পশু কোরবানির জন্য বেছে নেন। তারপরও কসাইয়ের অতিরিক্ত মজুরি আর কসাই সংকটের কারণে অনেকেই ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দিতে বাধ্য হয়।
সকাল থেকে রাজধানীর মগবাজার, মালিবাগ, চকবাজার, দিলু রোড, পল্টন, বকশিবাজার, রামপুরা এলাকায় বিভিন্ন অলিগলিতে কোরবানির চিত্র চোখে পড়ে। তবে ঈদের দিনের তুলনায় এর সংখ্যা কম।
দ্বিতীয় দিনে কোরবানি দেওয়া লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রথম দিন সবাই কোরবানি করেন, তাই কসাই না পাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা থাকে। এ কারণে দ্বিতীয় দিনে কোরবানি দিচ্ছেন তারা। তবে কেউ কেউ আছেন যারা ঈদের দিন কোরবানি করেছেন আজ আবারও করছেন।
সকালে দিলু রোড এলাকায় একটি বাসায় নিচে কোরবানি দিচ্ছেন ব্যাংক কর্মকর্তা শফিকুল। তিনি বলেন, প্রায় ৪ মণ ওজনের গরু ঈদের দিন সকালে কেটে দেয়ার জন্য ১২ হাজার টাকা চেয়েছে কসাই। তাই আমি এত টাকা খরচ না করে আজ কোরবানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
একই ভবনে পাশেই কেরাবারি দিচ্ছেন আব্বাস উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘অনেকটা ইচ্ছে করেই ঈদের পরের দিন কোরবানি করা। গতকাল ঈদের নামাজ পড়ে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আনন্দের সময় কাটাই। দ্বিতীয় দিন পশু কোরবানি করে আনন্দ ধরে রাখি।
বকশিবাজারের রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল কসাই পাইনি। একজন আসবে আসবে বলেও আসেনি। তাই বাধ্য হয়েই আজ কোরবানি করছি।
এদিকে আজ যারা পশু কোরবানি দিচ্ছেন তাদের বর্জ্য অপসারণে সকাল থেকেই কাজ শুরু করেছে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। তবে অনেক বাসিন্দাকেই নিজ দায়িত্বে বর্জ্য অপসারণ করতে দেখা গেছে। আর কোথাও আংশিক বর্জ্য থাকলে তা সিটি কর্পোরেশন থেকে অপসারণ করা হচ্ছে।
Posted ১১:২০ | রবিবার, ০২ আগস্ট ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain