| শনিবার, ১৩ জুন ২০২০ | প্রিন্ট
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, বর্তমানে যে কোভিড-১৯ একশ বছর পরপর নাকি এই ধরনের দুর্যোগ পৃথিবীতে আসে। কিন্তু বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য হচ্ছে, স্বাধীনতার ৫০ বছরের মাথায় কোভিড ১৯ এর চেয়ে ভয়াবহ মহামারি আওয়ামী লীগের শাসন। মাত্র ৫০ বছরের মাথায়। একশ বছর পর আসলেও বোঝা যেত ওইটার সাথে যোগাযোগ আছে। এরা ৫০ বছরের মাথায় এসে হাজির হয়েছে। আওয়ামী লীগ হচ্ছে ৫০ বছরের মহামারি, ১শ’ বছরের না।
শনিবার (১৩ জুন) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ করোনায় আক্রান্ত সকলের রোগমুক্তি কামনা ও চিকিৎসা পেয়ে বা না পেয়ে এই মহামারির সময়ে যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল এবং চলমান করোনা মহামারি উত্তরণে নাগরিক ভাবনা ও আমাদের ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসকে বিশ্বমহামারি ঘোষণা করে কিন্তু আমরা সতর্ক হইনি। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনা শুরুর প্রাক্কালে এ নিয়ে যেসব উক্তি করেছেন সে নিয়েও মন্ত্রীদের কটাক্ষ করেন সাবেক এই সংসদ সদস্য।
তিনি বলেন, আমরা ১০ টাকার চক্কর দেখছি, ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ১০ টাকায় চা-সামুচা, ১০ টাকায় চিকিৎসা, ১০ টাকায় স্যানিটারি— এসব ১০ টাকার চক্কর হচ্ছে আওয়ামী লীগের পাপের নমুনা।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ড. কামাল হোসেনের ওপর আক্রমণ হলো তার তদন্ত প্রতিবেদন আজ পর্যন্ত জমা হয়নি। চিত্রশিল্পী শহিদুল আলমকে অন্যায়ভাবে নির্যাতন করা হলো। সরকার ভিন্নমতকে সহ্য করতে পারে না।
তিনি বলেন, এই সরকার অনতিবিলম্বে একটা ঘোষণা দিক এবং ক্ষমতাসীন দলের যারা আছেন বা সরকারে যারা আছেন, মন্ত্রীরা তাদের নিজ নিজ জেলার সরকারি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ বাধ্যতামূলক। এমপিরা, বর্তমান আমলের এমপিরা, বিশেষ করে তাদের নিজ নিজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করা বাধ্যতামূলক। উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান যারা, তাদের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়া বাধ্যতামূলক। আর সচিব যারা, তাদের নিজ নিজ জেলার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া বাধ্যতামূলক। এটা যদি করতে পারে তাহলে স্বাস্থ্য খাতের উন্নতি সম্ভব। তা না হলে করোনার ভয়বাহ যে থাবা বিস্তার হচ্ছে এটা ধীরে ধীরে কোথায় গিয়ে থামবে তা আমরা নিজেরাও বলতে পারি না।
সাবেক সংসদ সদস্য আলাল আরও বলেন, সিকদার গ্রুপ, কাজী জাফর উল্লাহ, শামীম গ্রুপ, জি কে শামীম, খালিদ মাহামুদ চৌধুরী, বেসিক ব্যাংকের আব্দুল হাই বাচ্চু, কাজী শহিদ পাপলু, কর্নেল ফারুকের ভাই, আমাদের একমাত্র জামাতার কথাও শোনা যায়। তাদের ধরে ধরে প্রত্যেকের থেকে টাকা আদায় করে করোনা ফান্ডে যদি জমা করতে পারে তাহলে বলব সরকারের সদিচ্ছা আছে। তা না হলে সরকারকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। পূর্বপশ্চিমবিডি
Posted ২১:০৯ | শনিবার, ১৩ জুন ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain