| রবিবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
আওয়ামী লীগ সরকার এবং তার নেতারা নিজেদের জনগণের প্রতিনিধ মনে করে না সম্রাট মনে করেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, সরকারি দলের নেতারা সাংবাদিক নির্যাতন, হত্যা করছে, শিক্ষার্থীদের বুকের ওপর দিয়ে হাটছে, বিয়ে বাড়িতে গুলি করে আনন্দ করছে। তারা নিজেদের জনগণের প্রতিনিধি নয় দেশের সম্রাট ভাবতে শুরু করেছে। কিন্তু তারা জানে না কত সম্রাট ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্বাধীনতা ফোরাম কেন্দ্রীয় সংসদ কর্তৃক আয়োজিত বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজিরার নামে বারবার হয়রানি বন্ধ এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে বানোয়াট মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহার চাই মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
খালেদা জিয়ার মামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে প্রতি সপ্তাহে এক দুই বার হাজিরা দিতে যেতে হয়। তারপরেও নিউজ হয় হাজিরা না দিলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হবে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। ইন্টারপুল জারি করেছে তার বিরুদ্ধে। এ সরকার বিরোধী দলকে পরাস্থ করার জন্য পেশি শক্তি ব্যবহার করছে। দেশের প্রশাসনকে লেলিয়ে দিচ্ছে।
নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, যে আদালতে খালেদা জিয়ার বিচার হচ্ছে সে আদালতে বিচারের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে খালেদা জিয়া। এখন উচ্চ আদালতের এটি বিবেচনায় নেয়া উচিত এবং যে আদালতে বিচার হচ্ছে সে বিচারকের নিজে থেকেই সরে যাওয়া উচিত।
সরকার সম্পর্কে তিনি বলেন, যতদিন এ সরকার ক্ষমতায় থাকবে ততদিন এ দেশে সকল ক্ষেত্রে রাজনীতিকরণ, দলীয়করণ, গণতন্ত্র হত্যা, জনগণের ওপর নির্যাতন হতেই থাকবে। তাই আমরা বারবার দাবি করছি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন। এতে জনগণের যা রায় হবে তা আমরা মেনে নিব।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে নানা গুজব আছে। কিন্তু সেই গুজব গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়। আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি বলেই বারবার আলোচনার মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আশা করছি রাষ্ট্রপতি জনগণের কথা ভেবে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমিন, নিপুন রায় চৌধুরী প্রমুখ।
Posted ০৯:৫০ | রবিবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain