রবিবার ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

‘আমি মুসলিম নই, তবু প্রতিবাদ করবো’

  |   সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট

‘আমি মুসলিম নই, তবু প্রতিবাদ করবো’

‘আমি মুসলিম নই, তবুও আমি শুরু থেকেই এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের প্রথম সারিতে রয়েছি। কেন? আমার পরিবারের কী হয়েছে তা নিয়ে কেউ প্রশ্ন করতেই পারেন … কিন্তু আমি মনে করি আমরা যদি সত্যের পাশে দাঁড়াতেই না পারি তবে আমাদের পড়াশুনা কী কাজে লাগবে’, দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী এসব কথা বলেছেন।

দেশটির সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভ চলাকালীন রবিবার দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় পুলিশ। প্রাণ বাঁচাতে শিক্ষার্থীরা গ্রন্থাগার ও ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে পড়েন। এছাড়া অনেককেই রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন।

‘আমরা ভেবেছিলাম শিক্ষার্থীদের জন্যে দিল্লি সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা এবং এটি একটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। আমি ভেবেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ই সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হবে, আমাদের কিছুই হবে না। আমরা সারা রাত ধরে কেঁদেছিলাম, কী হচ্ছে এই সব, ওই শিক্ষার্থী কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন। এছাড়া তিনি জানান, অনেকেই আতঙ্কে হোস্টেল ছেড়ে যাচ্ছেন।

ক্ষুব্ধ এই ছাত্রী বলেন, আমি এই গোটা দেশে নিরাপদ বোধ করছি না। কোথায় যাব এবং কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেবো তা আমি জানি না। আগামিকাল আমার বন্ধুরা ভারতীয় থাকবে কিনা তা জানি না।

রবিবার সন্ধ্যায় জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ মিছিল ক্রমেই সহিংস হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ভাঙচুর চালায় ও যানবাহন জ্বালিয়ে দেয়। সেই সময়েই পুলিশ এলে তাদের সঙ্গেও সংঘর্ষ বাঁধে শিক্ষার্থীদের। লাঠিচার্জ করে ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থীকে আটক করে। যদিও পরে আটক করা সব শিক্ষার্থীকেই ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ ছেড়ে দেওয়া হয়।

ওই শিক্ষার্থী বলেন, এই ঝামেলা শুরু হওয়ার সময় আমরা লাইব্রেরিতে ছিলাম; সুপারভাইজারের কাছ থেকে আমরা ফোন পাই যে পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে। আমি সবে বেরোতে যাব, তখনই একটি ভিড় গ্রন্থাগারের দিকে ছুটে আসে এবং ৩০ মিনিটের মধ্যে গ্রন্থাগার চত্বর ভরে যায়।

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের (সিএবি) প্রতিবাদে দেশটির বিভিন্ন রাজ্যে বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ অর্ধশতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে। আসাম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মণিপুরের একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। বন্ধ রয়েছে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা। বিক্ষোভের জেরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন অন্তত ৫ জন।

এমন পরিস্থিতি ভারতের উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলিতে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্স। বিবিসি, এনডিটিভি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ২০:২৯ | সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com