শুক্রবার ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমার কথাই আইন: ট্রাম্প

  |   মঙ্গলবার, ০২ জুন ২০২০ | প্রিন্ট

আমার কথাই আইন: ট্রাম্প

জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন এবং বিক্ষোভ সংগঠকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ আনা হবে বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি যা বলবেন, সেটাই আইন হিসেবে কার্যকর হবে বলে মন্তব্য করেছেন এ রিপাবলিকান নেতা।

সোমবার রাতে হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে এক ব্রিফিংয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এই দাঙ্গার সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হচ্ছে আমাদের দরিদ্র সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ জনগণ। প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি তাদের নিরাপদে রাখতে লড়ে যাবো। আমিই আপনাদের আইন।

ট্রাম্প নিজেকে ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের মিত্র’ বলে দাবি করলেও তার এই বক্তব্য চলাকালেই হোয়াইট হাউসের বাইরে চলছিল নিরাপত্তা বাহিনীর তাণ্ডব। এসময় বিক্ষোভকারীদের ওপর রাবার বুলেট-টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে তারা। টেলিভিশনে ট্রাম্পের ভাষণের মধ্যেই বারবার মাথার ওপর দিয়ে হেলিকপ্টারের ওড়াউড়ি ও সহিংসতার শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল।

ট্রাম্প বলেন, ‘জর্জ ফ্লয়েডের নৃশংস মৃত্যুতে সব আমেরিকান প্রকৃতপক্ষেই দুঃখিত। তবে অবশ্যই কিছু ক্রুদ্ধ জনতার জন্য তার স্মৃতি ডুবে যেতে পারে না।’

তিনি বলেন, ‘আমি দাঙ্গা, লুটপাট, সন্ত্রাস, সহিংসতা ও সম্পদ বিনষ্ট রোধে হাজার হাজার সশস্ত্র সৈন্য, মিলিটারি ও আইনপ্রয়োগকারী বাহিনীর সদস্য নামাচ্ছি।’

এসময় সড়কের দখল নিতে অঙ্গরাজ্যগুলোর গভর্নরদের অতিরিক্ত ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘যদি কোনও শহর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অস্বীকৃতি জানায়… তাহলে তাদের সমস্যা সমাধানে আমিই মিলিটারি নামিয়ে দেবো।’

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সোমবার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের হোয়াইট হাউসের সামনে থেকে সরিয়ে দেয়ার ‘মিশনে’ অংশ নিয়েছিল ন্যাশনাল গার্ড মিলিটারি পুলিশ, সিক্রেট সার্ভিস, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি পুলিশ, এমনকি কলম্বিয়া জেলা পুলিশও। তারা ট্রাম্পের জন্য চার্চে যাওয়ার রাস্তা জোরপূর্বক ফাঁকা করে দেন। এর পরপরই অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে সেন্ট জন’স চার্চে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

তবে নিয়ম অনুসারে সেখানে কোনও প্রার্থনা করেননি তিনি, শুধু ছবি তুলেই চলে এসেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব নিয়ে দেশটিতে শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। চার্চে যাওয়া ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার কৌশল বলেও মনে করছেন অনেকে।

সূত্র: ডেইলি মেইল, রয়টার্স, আল জাজিরা

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১২:২৭ | মঙ্গলবার, ০২ জুন ২০২০

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com