বুধবার ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমার উপলব্ধিতে মুক্তিযুব্ধের স্বাধীনতা

  |   শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০১৭ | প্রিন্ট

আমার উপলব্ধিতে মুক্তিযুব্ধের স্বাধীনতা

জমির হোসেন,

স্বাধীনতা এ শব্দটা মুখে উচ্চারিত হতেই বুকের ভেতরটা কেন জানি আতঁকে উঠে।

যেন কালো মেঘ মাথার উপর জাপটে আছে।

কঠিন সময় পার করে অনাচার অত্যচার শোসন অগনিত লাশের পর আজকের বিজয় স্বাধীনতা।

সেই নাবালক কালে বড়দের কাছে ভূতের গল্প যখন শুনেছিলাম ভয়ে বুকটা তখন ধুরু ধুরু কেপেঁ উঠত।

একই ভাবে স্বাধীনতাকে বুঝতে সময় লেগেছে।

বড় হতে লাগলাম দেশ স্বাধীন হলো।

আমরা স্বাধীকার পেলাম।

এরপর বড়দের কাছে স্বাধীনতার কাহিনী শুনলাম।

বিভিন্ন বই-পুস্তক পড়ে করুন কষ্টময় বেদনাময় কাহিনী পড়ি।

তখন বুজলাম একটি দেশ ও দেশের সাব’ভৌমত্ব রক্ষা করা কত যে দুরূহ ইতিহাস তা বলে দেয়।

স্বাধীনভাবে চলতে কথা বলতে কেনা চায়।

সেই স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে বীর বাঙালিদের মনে চেতনা জেগেছিল। যা আমাদের কাছে চির অম্লান অভিস্মরনীয় হয়ে থাকবে।

আজ আমরা বঙ্গ বন্ধুসহ আত্বত্যাগকারী সকল স্বাধীনতা মুক্তিযোব্ধাদের কাছে চিরঋনী।

১৯৭১ সালে কত যন্ত্রণা সহ্য করে ত্যাগের অনুদানে আমাদের আজকের লাল সবুজের পতাকা অজ’ন হয়েছে।

ত্রিশ লাখ জীবনের অাত্বদানে আজকের এই স্বাধীনতা।

কি ভয়ংকর এই কাহিনী যা শুনতে শরীর শিহরিত হয়ে উঠে।

কি পাশবিক নিযা’তন করেছিল পশ্চিম পাকিস্তান পূব’ পাকিস্তানের মানুষদের উপর।

২৫ মাচ’ ১৯৭১ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের সরকার গভীর রাতে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) নিরীহ জনগণের উপর ঘৃন্য হামলা চালায়।

স্বাধীনতার পরবতী’ সময়ে আমরা স্বাধীনভাবে চলতে কথা বলতে পাই স্বাধীকার ।

এরপর আমাদের বিজয়ের সানাই বাজতে শুরু করে।

১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারী প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে দিনটিকে বাংলাদেশে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয় পাশাপাশি এ দিনটিতে সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা করা হয়।

দিনটি ঘিরে আজ আনন্দ উল্লাস গান বাজনা দিন ব্যাপি স্বাধীনতার আলোকপাতসহ নানা আয়োজনে সরকারী বেসরকারী সবাই একটি ব্যস্ত সময় পার করে।

স্বাধীনতা অজ’ন হলো এর শৃংখলা রক্ষণা বেক্ষণার দায়িত্ব সবার উপর বতা’য়।

যারা মুক্তমনে জীবন উৎসর্গ করে আমাদের একটি মানচিত্র নিদিষ্ট ভূখণ্ড এনে দিল তাদের ঋন কিভাবে শোধ হবে।

এই প্রশ্ন আজ অবশষ্ঠ থেকে যায়।

তারা সে দিন ভিন্ন ভিন্ন মত,বিবেদের জন্য স্বাধীনতার জন্য প্রাণ লুটিয়ে দেননি।

কাঁদে কাঁদ রেখে সুরে সুর বেধেঁ ওই পাকবাহিনীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ভূখণ্ডকে রক্ষা করতে। তাদের চেতনার আওয়াজে লোভ লালসা,হিংসা বিদ্বেষ ছিলনা।

একটাই চাওয়া একটাই পাওয়া আমরা পরাধীন থাকতে চাইনা।

স্বাধীনতা চাই মুক্তির স্বাধীনতা দেশ ও জাতির স্বাধীনতা।

দীর্ঘ ৯ মাস পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন করে বত’মান বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটায়।

বিশ্ব সাচ’ ইঞ্জিন গুগলের বাটন টিপলেই ইতিহাসের পাতা ডানা মেলে দেয়। পশ্চিম পাকিস্তানিরা নিরীহ জনগণের উপর শুধু হামলা চালিয়ে ক্ষ্যান্ত হয়নি। ঢাকার বিভিন্ন অলিগলিতে গোলাবর্ষণ অনেক স্থানে নারীদের উপর অমানবিক পাশবিক নির্যাতন চালায় এছাড়া ওই সময় অনেক স্থানে পরিকল্পিতভাবে হত্যার মত জঘন্য কাজ করে।

মানুষের সহ্যের সীমা থাকে একটা সময় এর বাধ যখন ভেঙে যায়।

বাঙালিদের যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার একটা অবস্থা সৃষ্টি হয় ঠিক তখন অনেক স্থানেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা না করে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন।

এরপর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসার পর আপামর বাঙালি জনতা দেরী না করে পশ্চিম পাকিস্তানি জান্তার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন।

চলমান ৯ মাসের যুব্ধের পর বিজয় আমাদের নিশ্চিত হয়।

আমরা পাড় করি পরাধীনতার গন্ডি।

অন্ধকার শেষে আলো উকি মারে আজকের সবুজের বাংলাদেশে।

মতৈক্যের উব্ধে’ গিয়ে মাটির ভালোবাসায় নতজানু হয়নি বীর বাঙালিরা দেশের সাব’ভৌমত্ব রক্ষায়।

নেতা নেতৃত্বকে বড় করে না দেখে লাল সবুজের সম্মানকে ভূলন্ঠিত হতে না দেওয়ার যে লক্ষ্য তা অটুট রাখতে শত যন্ত্রণা বুকে সয়ে পাকহানাদারকে বৃব্ধা আঙুল দেখিয়ে বিজয় নিশান উড়ায়। আমাদের নিরস্ত্র বাঙালিরা।

সেই চিরন্তন সত্যকে আবার মনে করিয়ে দিল পরাজয়ে ডরেনা বীর।

বিভিন্ন ভাবে দেখা যায় ১৯৭১ সালের এ দিনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করেন।

তাপর এই দিনে জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের উদ্দেশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণের ডাক দেন।

তবে এই ঘোষনা নিয়ে রয়েছে মতের অমিল। অন্যদিকে এ নিয়ে বিভিন্ন বই-পুস্তকে এ তথ্য থাকলেও এই তথ্যের ব্যাপারে আছে মতবিরোধও।

অজ’ন কঠিন ভাবে আমাদের আসলেও এর মাঝে দেখা দিয়েছে বিশাল মতের পাথ’ক্য।

যা আমাদের স্বাধীনতার অজ’নকে নেতৃতত্বের মাপকাঠিতে আনা কতটুকু যুক্তি তা বোধগম্য নয়।

এই বিশাল অজ’নে কারো অবদানকেই ছোট করে দেখার মত নয়।

বড় কথা হলো আমরা স্বাধীন হয়েছি। আমাদের আছে একটি মানচিত্র,আছে সারা বিশ্বের মাঝে অহংকার সবুজের মাঝে লাল সুন্দর একটি পতাকা। আমাদেরকে বিলীন করে দিতে অপারেশন সার্চলাইট ২৫ মাচ’ থেকে শুরু হওয়া ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত এবং পরিকল্পিত গণহত্যার মধ্যমে ১৯৭১ মার্চ মাসে ও এর পূর্ববর্তী কালে সংঘটিত বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে দমন করতে চেয়েছিল। পশ্চিম পাকিস্তানী শাষকদের আদেশে পরিচালিত ছিল এই গণহত্যা।

ইতিহাসের বণ’নায় আসে যে ১৯৭০ নভেম্বরে সংঘটিত হয় অপারেশন ব্লিটজ সেটা ছিল এর পরবর্তি অনুষঙ্গ। এই অপারেশনের আসল উদ্দেশ্য ছিল ২৬ মাচ’। এর মধ্যে টাগে’ট ছিল বড় বড় শহর দখল করার।

অন্যদিকে রাজনৈতিক এবং সামরিক বিরোধীদের এক মাসের ভেতর নিশ্চিহ্ন করে দেয়া।

এভাবেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বণ’না উঠে আসে বই-পুস্তকসহ বিশ্ব ওয়েবসাইটে।

যার ফলে স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করার কারো কোন সাধ্য নেই।

প্রযুক্তি ক্ষেত্রসমুহ এখন হাতের মুঠোয়।

তাই সঠিক ইতিহাসকে কাল্পনিক ভাবে সাজানোর কোন প্রকার সুযোগ নেই।

আমাদের ইতিহাস-রচিয়তারা সত্যকে জানার জন্য স্বাধীনতা মুক্তিযোব্ধাদের সম্মানকে তুলে ধরেন তাদের বিভিন্ন রচনায়। এরই ফলশ্রুতিতে স্বাধীনতা মুক্তিযোব্ধা সময় আত্বদান

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৭:০৩ | শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০১৭

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com