| বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
গণতন্ত্র যাতে অবমুক্ত না হয় সে জন্য সিইসি হিসেবে নুরুল হুদাকে নিয়োগ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আরেকটি রক্তাক্ত নির্বাচন করতেই তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ই-ভোটিং ব্যবস্থা চালু করা যেতে পারে বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মন্তব্য করেছেন তা ‘নিঃসন্দেহে দুরভিসন্ধিমূলক’ই-ভোটিং ব্যবস্থার কথা। তা বলার মানেই হলো আরেকটি ভেল্কিবাজির বর্ধিত প্রকাশ।প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ই-ভোটিং চালু করার ঘোষণা জনগণকে আরেকটি তামাশার বায়োস্কোপ দেখানো ছাড়া অন্য কিছু নয়। আওয়ামী লীগ নিজেদের টিকিয়ে রাখতে চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র ও কারসাজির ওপরই ভর করে।
তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে আমি দৃঢ়কণ্ঠে বলতে চাই, প্রধানমন্ত্রীর উচ্চাভিলাষের কাছে সংগ্রামী জনগণ নিজেদেরকে কখনোই সঁপে দেবে না। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জনগণ ক্ষমতাসীন মহলের যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দেবে।
তিনি আরো বলেন, ‘যে সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নিজেদের অভিপ্রায় পূরণ করতে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে, নিজেদের ঘরের ছেলেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বানিয়েছে, সেই সরকার জনগণের ইচ্ছার সঠিক প্রতিফলন ঘটাবে-এটি কেউ বিশ্বাস করে না। কারণ বর্তমান বিনা ভোটের সরকার যদি গণতন্ত্র, নির্বাচন এবং মানুষের ভোটাধিকারে বিশ্বাস করত তাহলে আজ চারদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) সরে যাওয়ার যে তুমুল দাবি উঠেছে, সেটিকে আমলে নিয়ে সব দলের সঙ্গে পরামর্শ করে একজন যথার্থ নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে সাংবিধানিক এই পদটিতে বসানোর জন্য রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতেন।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম, খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আবদুল আউয়াল খান, সেলিম ভূইয়া, আসাদুল করিম শাহীন, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ প্রমুখ।
Posted ০৯:৩৮ | বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain