| বুধবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট
মো: রুহুল আমীন, আত্রাই প্রতিনিধি : নওগাঁর আত্রাইয়ে উপজেলা সদরে অবস্থিত ব্যস্ততম আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন। এ স্টেশনের উঠানামার প্রবেশ মুখে মোটর সাইকেল রেখে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে কিছু বিবেকহীন মোটর সাইকেল আরহী।
সরেজমিনে দেখা জানা যায়, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত্রী পর্যন্ত স্টেশনের পশ্চিম ধারে অসংখ্য মোটর সাইকেল সারিবদ্ধ ভাবে রাখা থাকে। ফলের দোকান, চায়ের দোকান দিয়ে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এতে ট্রেন যাত্রীসহ পথচারীদের হাঁটতে ও স্টেশনে প্রবেশ করতে শতশত যাত্রীদের ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুসহ ব্যাগলাগেজনিয়েচলাচলে বেগ পেতে হয়। যাত্রীদেরকথা ভেবে স্টেশনেরপ্রবেশ পথে রাখা মোটরসাইকেল, দোকান উচ্ছদের পদক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের।
সাধারণ মানুষ ও ট্রেন যাত্রীদের এহেন সমস্যা যেন দেখারও কেউ নেই। এছাড়াও স্টেশন চত্বরে একটি বড় মসজিদ ও স্টেশনের পূর্ব পাশে কাঁচাবাজার ও উপজেলার সুনামধন্য মৎস্য আড়ত ও উপজেলা পোস্ট অফিস বিদ্যুতের সাব স্টেশনে হেঁটে যাওয়ার পথও এই এস্টেশনের উপর দিয়ে।
স্টেশনে অবস্থানরত ট্রেন যাত্রী রবিউল ইসলাম জানান, স্টেশনে এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত মোটর সাইকেল, সিএসজি রেখে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা যাত্রীরা যেতে যে অসুবিধা হয়। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ আসু প্রয়োজন।
অপর এক যাত্রী আব্দুর রহমান বলেন, প্লাটফর্মে ফাঁকা জায়গায় কাঁচা সবজি, মাছের বাজার বসে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত। ভিড়ে সবজি বাজার সব সময়ই গম গম করে। ফলে ট্রেন যাত্রীদের ট্রেনে উঠা-নামায় ব্যাপক ভাবে বাধা গ্রস্ত হওয়াসহ ঘটছে অহরহ দুর্ঘটনা। এছাড়াও রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতায় এ বাজার চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ছাইফুল ইসলাম জানান, একাধিকবার নিষেধ করার পরও মোটর সাইকেল রাখে,সবজির দোকান দেয়। উপায়ন্তনা দেখে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করছি।
রেলওয়ে আইনে রেল লাইন থেকে ৩০ ফিট এর ভেতরে কোন স্থাপনা, অবস্থান করাবা দোকান নির্মাণ করা যাবেনা। আইন থাকলেও একবারে রেললাইন ঘেষে মোটর সাইকেল রাখা, ফলের দোকানবসা নিত্য দিনের চিত্র।ফলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে এমন ধারনা প্রতিদিনের ট্রেন যাত্রীসহ এলাকার সচেতন মহল।
Posted ২১:৪৫ | বুধবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২১
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin