শুক্রবার ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনাহার-পানিশূন্যতায় গাজায় ৩১ শিশুর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | প্রিন্ট

অনাহার-পানিশূন্যতায় গাজায় ৩১ শিশুর মৃত্যু

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনের কারণে তীব্র খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে। সেখানে অনাহার এবং পানিশূন্যতায় বহু শিশু প্রাণ হারিয়েছে। প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (পিআরসিএস) জানিয়েছে, গাজায় অনাহার এবং পানিশূন্যতায় এখন পর্যন্ত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের চিকিত্সকরা ওষুধ স্বল্পতার মধ্যেও তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে এমন শিশুদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে তারা সতর্কবার্তা দিচ্ছেন কারণ সেখানকার পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে।

গাজায় এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু।
প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, একটি বা দুই পা-ই হারিয়েছে গাজার এক হাজার শিশু।

jagonews24.comছবি: এএফপি

জাতিসংঘ বলছে, গাজায় ৫০ হাজারেরও বেশি শিশু তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলছে, উত্তর গাজায় দুই বছরের কম বয়সী ৩০ শতাংশ শিশু তীব্রভাবে অপুষ্টিতে ভুগছে। এদিকে ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি রয়েছে দুই হাজারের বেশি শিশু।

প্রায় ৬ মাস ধরে গাজায় তাণ্ডব চালাচ্ছে ইসরায়েল। সেখানকার বাড়ি-ঘর, মসজিদ, হাসপাতালসহ কোনো স্থাপনাই ইসরায়েলি হামলা থেকে বাদ পড়েনি। হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে ৩৩ হাজার ৩৭ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ৭৫ হাজার ৬৬৮ জন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। সে সময় থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি সৈন্যদের হামলায় প্রতিদিনই সেখানে শত শত ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাচ্ছে।

এদিকে গাজায় অব্যাহত হামলার কারণে সেখানে ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্প্রতি গাজায় ইসরায়েলি সৈন্যদের হামলায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) সাতজন সাহায্য কর্মী নিহত হয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে সংস্থাটি তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে অনেক ফিলিস্তিনিই এখন আশঙ্কায় আছেন যে, তারা কীভাবে তাদের পরিবারের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করবেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৭:৫৪ | শুক্রবার, ০৫ এপ্রিল ২০২৪

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com