
| বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৩ | প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের দেয়া রায় কার্যকর করতে জেল কোড না মানার বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছে আসামিপক্ষ।
তারা বলেন, ট্রাইব্যুনালের আদেশ অনুযায়ী জেল খানায় থাকা অবস্থায় প্রয়োজনীয় সব কিছু জেল কোড অনুযায়ী হলেও ফাঁসি কার্যকর কেন জেল কোড অনুযায়ী হবে না।
কাদের মোল্লার ছেলে হাসান জামিল বলেছেন, ‘আমার বাবা কারাগারে থাকতে সব কিছু জেল কোড অনুযায়ী হয়েছে। শেষ মুহূর্তে এসে কেন জেল কোড মানা হচ্ছে না?’
বৃহস্পতিবার কাদের মোল্লার ছেলে হাসান জামিলের পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জেলে থাকা অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি, আইনজীবীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, তাকে বিভিন্ন কাগজপত্র সরাবরাহ, ডিভিশন প্রদান সবকিছুই জেল কোড মেনে করা হয়, সেজন্য ট্রাইব্যুনাল জেল কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার লিখিত আদেশও দিয়েছেন। অথচ এখন সরকার বলছে জেল কোড মানা হবে না।
উল্লেখ্য, জেল কোড মানার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় কার্যকরে জেল কোড প্রযোজ্য নয়।
তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ৪৭ ধারা মতে জেল কোড এখানে অ্যাপ্লিকেবল (প্রযোজ্য) নয়। যা আমি বার-বারই বলে আসছি।’
অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকে তাজুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত সবকিছু জেল কোড অনুযায়ী হয়েছে। আর এখন আইসিটি আইন দেখিয়ে সরকার জেল কোড এড়িয়ে রায় কার্যকর করতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘জেল কোডের বাইরে গিয়ে রায় কার্যকর করা হলে তা হবে বর্বরতা। এটি হবে জঙ্গলের শাসনের আলামত। ফাঁসি কার্যকর করতে জেল কোড মানতেই হবে।’
আসামিপক্ষর এই আইনজীবী বলেন, ২০১০ সালের ১৩ জুলাই আবদুল কাদের মোল্লাকে গ্রেপ্তার এবং পরবর্তীতে জেলখানায় থাকা অবস্থায় তার ক্ষেত্রে সবকিছুই জেল কোড মেনেই করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরাও তার বিরোধীতা করেননি। কিন্তু রায় পরবর্তী কার্যক্রম জেল কোড অনুযায়ী মেনে নিতে চাচ্ছে না সরকারপক্ষ।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, আবদুল কাদের মোল্লার রায় দ্রুত বাস্তবায়নের জন্যই জেল কোড মানতে চাচ্ছে না।
এ সময় তিনি কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিষয়ে জেলকোড মেনে চলার বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক পাশ করা কয়েকটি আদেশ তুলে ধরেন-
গত বছর ৮ নভেম্বর বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল কাদের মোল্লাকে হাসপাতালের চিকিৎসা বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষ জেল কোড অনুযায়ী ঠিক করবেন মর্মে আদেশ দেন। তাকে জেলে রেখে চিকিৎসা করাবেন না হাসপাতালে পাঠানোর দরকার আছে- এটা তারাই ঠিক করবেন।
এছাড়া একই দিন কাদের মোল্লার সঙ্গে তার আইনজীবীদের সাক্ষাতের বিষয়ে আদেশ দেন।
আদেশে ট্রাইব্যুনাল উল্লেখ করেন, আসামিপক্ষের দুইজন আইনজীবীর সঙ্গে আসামির প্রিভিলেজড কমিউনিকেশনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হলো। এ সময় তাদের সঙ্গে অন্য কেউ উপস্থিত থাকবে না। নিরাপত্তারক্ষী থাকবে তবে সে দেখবে। তাদের মধ্যকার কথা শুনতে পারবে না।
এছাড়া ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল প্রিভিলেজ বিষয়ে আরেকটি আদেশ দেন।
Posted ১৬:২৭ | বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin