
নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | প্রিন্ট
অনলাইন ডেস্ক : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সামাজিক বনায়নের সুবিধাভোগীরা গাছ বিক্রির লভ্যাংশের পরিবর্তে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড থেকে সমপরিমাণ অর্থ পাবেন।
পরিবেশ উপদেষ্টাবলেন, সামাজিক বনায়নের গাছ রক্ষা করতে হবে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এ গাছ কাটা যাবে না। আকাশমণি ও ইউক্যালিপটাস নয়, দেশীয় গাছ লাগাতে হবে।
আজ রবিবার রংপুর সার্কিট হাউজে বন অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সরকারি সংস্থাগুলোর কার্যকর সমন্বয় জরুরি। বন ধ্বংস, দূষণ ও পানি সংকট মোকাবিলায় এককভাবে কাজ করলে হবে না। খরা, বন্যা ও নদীভাঙন মোকাবিলায় জলাধার সংরক্ষণ, বন পুনঃস্থাপন ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে হবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা পাথর ভাঙা রোধ ও অবৈধ ইটভাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেন। নদীভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জরুরিভিত্তিতে কাজ করার নির্দেশ দেন। বাধের পাশে বেশি করে দেশীয় গাছ লাগাতে ও স্থানীয় মানুষকে সম্পৃক্ত করতে বলেন।
সভায় বন বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা তাদের কার্যক্রম ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন। তারা জানান, রংপুর অঞ্চলে বন উজাড়, শিল্প ও কৃষি দূষণ এবং পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করা হচ্ছে।
সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক প্রকৌশলী এ. কে. এম. তাহমিদুল ইসলাম, বগুড়া সামাজিক বন সার্কেলের বন সংরক্ষক মুহাম্মদ সুবেদার ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহবুবর রহমান এবং পরিবেশ অধিদপ্তর রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক এ. কে. এম. রফিকুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Posted ০৮:৪০ | রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain