| শনিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট
বর্তমানে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন রয়েছে ৫০টি।নবনির্বাচিতদের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের পরবর্তী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে দল বা জোটগুলো বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের জোটের অবস্থান নির্বাচন কমিশনে জানাতে হবে।সে মোতাবেক আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে এ সংক্রান্ত তথ্য দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে ১ এপ্রিলের মধ্যে এ নির্বাচন করতে হবে।
ইসি সূত্রে জানা যায়, দল বা জোটের দেয়া তথ্য অনুযায়ী প্রার্থীর তালিকা প্রস্তুত করে সংরক্ষিত আসন বণ্টন করবে ইসি। ফলাফলের গেজেট প্রকাশের পরবর্তী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ইসি তা করবে। অর্থাৎ আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশন এ তালিকা প্রস্তুত করবে। তালিকা প্রস্তুতের পর ১৩ ফেব্রুয়ারি সেই তালিকা ইসি প্রকাশ্য কোনো স্থানে টানিয়ে দেবে। একইসঙ্গে সংসদ সচিবালয়কে সেই তালিকা প্রত্যায়িত কপি টানানোর জন্য বলবে। নির্বাচনের আগে সেই তালিকার আর কোনো পরিবর্তন করা যাবে না। তবে কোনো কারণে ভুল হলে নির্বাচন কমিশন তা সংশোধন করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন রয়েছে। জোট বা দলের আসন অনুপাতে এ সংরক্ষিত আসন বণ্টন করা হয়। কোনো জোট বা দল বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কে কত আসন পাবে তার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন হবে আনুপাতিক। এক্ষেত্রে মোট সংরক্ষিত আসনকে জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা দিয়ে ভাগ করে, সেই ভাগফলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দল বা জোট বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রাপ্ত আসন সংখ্যার গুণফলই হবে ওই দল বা জোট বা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সংরক্ষিত নারী আসন সংখ্যা।
সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল গত ১ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে ২৯৮ জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির নাম ঠিকানাসহ প্রকাশ করা হয়। এরপর ৩ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) জাতীয় সংসদের স্পিকার নব নির্বাচিতদের শপথ পাঠ করিয়েছেন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসন পেয়েছে। তবে জাতীয় পার্টি (২২ আসন) বিরোধী দলে থাকার ঘোষণা দেয়ায় সংসদে মহাজোটের প্রার্থী দাঁড়িয়েছে ২৬৬টি। এক্ষেত্রে মহাজোট পাবে ৪৪টি সংরক্ষিত আসন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫৭ আসনে জয়লাভ করায় দলটি পাবে ৪২টি আসন। আর জাতীয় পার্টি পাবে ৩টি আসন।
ঐক্যফ্রন্টের ৭ জন প্রার্থী অধিবেশন শুরুর পর ৯০ দিন পর্যন্ত শপথ নেয়ার সুযোগ পাবেন। তারপরও শপথ না নিলে সে আসনগুলোতে পুনরায় নির্বাচন হবে। ঐক্যফ্রন্ট সংসদে গেলে তাদের জন্য দুটি সংরক্ষিত আসন থাকবে। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কোনো জোটে যোগ না দিলে তাদের জন্য থাকবে একটি আসন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ আসনের এক প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় সেখানে ২৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ করা হবে। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে অনিয়মনের কারণে স্থগিত তিন কেন্দ্রের ভোট ৯ জানুয়ারি গ্রহণ করার পর ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
Posted ১২:১৪ | শনিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain