নির্বাচন কমিশনে (ইসি) লিখিত এক অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানের ছেলে ব্যারিস্টার ইরফান ইবনে আমান বলেছেন, হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপর হামলা করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার কাছে এ অভিযোগ জমা দেন তিনি।

লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ঢাকা-২ (কেরানীগঞ্জ-কামরাঙ্গীরচর) আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী অমি। সোমবার তিনি সাভার উপজেলার আমিন বাজারে গণসংযোগ চালাতে গেলে সাভার থানার (ওসি) ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা তার ওপর হামলা করে। তারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপর হামলা করে। গাড়ি ভাঙচুর করে। এতে তার অনেক নেতাকর্মী আহত হন। এমনকি পুলিশ অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেন।

হামলায় আহতদেরকে সাথে নিয়ে এ অভিযোগে তিনি গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করে আহত কর্মীদের সুচিকিৎসা ও ভাঙচুরকৃত গাড়ির ক্ষতিপূরণও চেয়েছেন।

তিনি বলেন, আমি আগেও জীবনের নিরাপত্তা শঙ্কা জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে পুলিশি নিরাপত্তা দেয়ার জন্য দু’বার আবেদন করেছিলাম।

এর আগে দুপুর দেড়টার পরপর নির্বাচন কমিশনে যান ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ। ড. কামাল হোসেন ছাড়াও বৈঠকে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আ. স. ম. রব, নজরুল ইসলাম খান, ড. মঈন খান, কাদের সিদ্দিকী, মাহমুদুর রহমান মান্না, মোস্তফা মোহসিন মন্টু প্রমুখ।

এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে দেওয়া এক চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচনের আশায় যখন বিএনপি, ২০ দল ও ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় প্রচারে নেমেছে ঠিক তখন পুলিশ, সাদা পোশাকধারী লোকজন ও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের ক্যাডাররা বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীদের ওপর চড়াও হচ্ছে, গুরুতর জখম করছে। পুলিশ অতি উৎসাহী হয়ে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করছে, বিনা কারণে গ্রেফতার ও হয়রানি করছে।

চিঠির সঙ্গে দেশজুড়ে হয়রানি, হামলা ও গ্রেফতারের একটি তালিকাও সিইসির কাছে হস্তান্তর করা হয়।