রবিবার ১৬ই জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২রা আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সেনাবাহিনীকে আর কতো ছোট করা হবে, প্রশ্ন রিজভীর

  |   রবিবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট

সেনাবাহিনীকে আর কতো ছোট করা হবে, প্রশ্ন রিজভীর

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী পুলিশের সমন্বয়ের মধ্যে থাকবে, এমন সিদ্ধান্ত নজিরবিহীন ও দুরভিসন্ধিমূলক। সিইসি বলেছেন যে, আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে মাঠে নামবে। সেনাবাহিনী একটি সুপিরিয়র বাহিনী হিসেবে পুলিশের কমান্ডে কী করে কাজ করবে? সেনাবাহিনীকে আর কতো ছোট করা হবে?

রোববার (২৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

পুলিশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশ মতোই কাজ করছে বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) মন্তব্যের জবাবে রিজভী বলেন, সিইসি স্বীকার করে নিলেন যে, সারাদেশে যতো হামলা, মামলা, গায়েবি মামলা, গ্রেফতারসহ সবকিছু হচ্ছে সিইসির নির্দেশে। তার বক্তব্যে পরিষ্কার হলো তিনি সুষ্ঠু নির্বাচন চান না। যে করেই হোক আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় বসাতে হবে-এটাই কমিশনের মনোবাসনা।

তিনি বলেন, সংসদ নির্বাচনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া ভোটকেন্দ্রের ভেতরে না ঢুকতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। ‌একতরফা নির্বাচন করতে, দেশে একনায়কতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা করতেই তিনি সিইসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করার জন্য নয়। সিইসির বক্তব্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও বেপরোয়া করে তুলবে।

সাবেক এ ছাত্র নেতা বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে যেতে পারবেন না, সাংবাদিকরা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন না, পর্যবেক্ষকদের মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থেকে ভোট পর্যবেক্ষণ করতে হবে, তাহলে কি শুধুমাত্র আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনী আর আওয়ামী চেতনায় সাজানো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মিলে নির্বাচন করবে? ভোট ডাকাতির সুযোগ করে দিতেই যাবতীয় আয়োজন করা হচ্ছে বলে জনগণ বিশ্বাস করে।

তিনি বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। বর্তমান ডিজি সামীম মো. আফজাল দীর্ঘ ১০ (দশ) বছর ওই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। প্রশাসনিক কাজে অমনোযোগী হলেও দলীয়করণ ও দুর্নীতিতে সর্বশ্রেষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলেন এই মহাপরিচালক।

রিজভী আরও বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশে ওয়াজ মাহফিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ ইসলামী ফাউন্ডেশনের অধীনস্ত ‘মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পে’ লক্ষাধিক কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কেয়ারটেকার কর্মরত রয়েছে। অন্যান্য প্রকল্প ও রাজস্ব খাতসহ প্রায় দেড় লাখ জনশক্তিকে দলীয়করণের কাজে ব্যবহার হতে বাধ্য করছেন এই ডিজি। ৪৫ দিনব্যাপী ৬৪ জেলায় নির্বাচনী প্রচারণার কাজ বাস্তবায়নের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।  পূর্ব-পশ্চিম

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৪:১৬ | রবিবার, ২৫ নভেম্বর ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com