বৃহস্পতিবার ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সূর্যের পর কৃত্রিম চাঁদও বানালো চীন

  |   বুধবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২২ | প্রিন্ট

সূর্যের পর কৃত্রিম চাঁদও বানালো চীন

কল্পনাকে সত্যি করে কৃত্রিম সূর্যের পর কৃত্রিম চাঁদও বানালো চীন। এর ফলে মাধ্যাকর্ষণকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে পৃথিবীতেই শূন্যভরে অবস্থায় ভেসে থাকা যাবে যতক্ষণ খুশি।

 

চীনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার উদ্যোগে পৃথিবীতে বানানো হয়েছে বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম চাঁদ। চীনের জিয়াংশু প্রদেশের পূর্ব দিকে শুঝাউ শহরে এই কৃত্রিম চাঁদ বানিয়েছে দেশটি।

চীনের পত্রিকা দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, প্রকল্পের কর্ণধার চায়না ইউনিভার্সিটি অব মাইনিং অ্যান্ড টেকনোলজি-র অধ্যাপক লি রুইলিনের জন্যই এই অসাধ্যসাধন সম্ভব হয়েছে। মূলত তারই মস্তিষ্কপ্রসূত এই কৃত্রিম চাঁদ। এই প্রকল্পের লক্ষ্য, চাঁদে মানুষ নামানোর প্রস্তুতি শুরু করা। চাঁদের মন বোঝা। ভরশূন্য অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ থাকতে গেলে কী কী অসুবিধা হতে পারে পৃথিবীর উপগ্রহে, বায়ুমণ্ডল নেই বলে সূর্য থেকে প্রতি মুহূর্তে ছুটে আসা হানাদার ও মহাজাগতিক রশ্মির ঝাপটা থেকে কীভাবে বাঁচানো যেতে পারে চাঁদের মাটিতে নামা নভোচারীদের, তা পৃথিবীর মাটিতেই আগাম বুঝে নিতে এই কৃত্রিম চাঁদ বানানো হয়েছে।

 

অধ্যাপক লি রুইলিন দৈনিক পত্রিকাটিকে বলেছেন, এই প্রকল্পের ফলে আগামী দিনে চাঁদের কোথায় নেমে দীর্ঘ দিন থাকতে পারবেন মহাকাশচারীরা, গবেষণা ও অন্যান্য কাজে, তা পৃথিবী থেকেই বুঝে ফেলা সম্ভব হবে। উপগ্রহ, ল্যান্ডার, রোভার পাঠিয়ে আর চাঁদের মন বোঝার চেষ্টায় ঘাম ঝরাতে হবে না।

 

অধ্যাপক লি রুইলিন আরো বলেন, এই কৃত্রিম চাঁদের ব্যাস অবশ্য আদত চাঁদের মতো নয়, অনেকটাই কম। তবে এই চাঁদের পিঠ ভরিয়ে দেওয়া থাকবে আসল চাঁদের পাথর আর ধুলোবালি দিয়ে। যার ভার নেই বললেই হয়।

 

এদিকে, বেইজিং ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, আগামী দশকে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠাবে চীন। চাঁদের কক্ষপথে পাঠানো হবে স্থায়ী মহাকাশ স্টেশন। যেখান থেকে প্রয়োজনে চাঁদে নামতে পারবেন নভোচারীরা। এছাড়াও পৃথিবীর কক্ষপথে আলাদাভাবে একটি মহাকাশ স্টেশন ইতিমধ্যেই বানিয়ে ফেলেছে‌ বেইজিং।

 

উল্লেখ্য, এর আগে কৃত্রিম সূর্যও বানিয়েছে চীন। এক লাখ কোটি ডলারের প্রকল্পে চীন এমন একটি নিউক্লিয়ার ফিউশন রিয়্যাক্টর বানিয়েছে যেখানে সূর্যের চেয়ে পাঁচ গুণ বেশি তাপমাত্রার জন্ম দেওয়া সম্ভব হয়েছে টানা ১৭ মিনিটের জন্য। সেই রিয়্যাক্টরে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে ১৫ কোটি ৮০ লাখ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা সাত কোটি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়। সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট,

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৫:৫৪ | বুধবার, ১৯ জানুয়ারি ২০২২

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com