নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | প্রিন্ট
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল ফিতরের ১৯৭তম জামাতের নিরাপত্তায় কাজ করবে ১ হাজার ১১৬ পুলিশ সদস্য।
আজ বেলা ১১টায় শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তায় নিয়োজিত অফিসার ও পুলিশ সদস্যদের ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ।
এ সময় তিনি জানান, ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তায় কাজ করবে ১ হাজার ১১৬ পুলিশ সদস্য। এর মধ্যে পোশাকে ৮৮০ জন, সাদা পোশাকে ১৮৭ জন ও ট্রাফিকে ৪৯ জন অফিসার ফোর্স মোতায়েন থাকবে।
জানা গেছে, আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় চার স্তরে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আগের চেয়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে শোলাকিয়ায়। মোতায়েন থাকবে পাঁচ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাব।
সকাল ১০টায় শুরু হবে ঈদুল ফিতরের জামাত। জামাতে ইমামতি করবেন বাংলাদেশ ইসলাহুল মুসলেমিন পরিষদের চেয়ারম্যান ড. মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ। বিকল্প ইমাম হিসেবে থাকবেন বড় বাজার মসজিদের খতিব মাওলানা শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ।
আগত লাখ লাখ মুসল্লির নিরাপত্তার স্বার্থে এখানে টুপি ও জায়নামাজ ছাড়া কিছু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। ছাতা নিয়েও ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে আবহাওয়া যদি খারাপ থাকে কিংবা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে ছাতা নিয়ে ময়দানে প্রবেশের কথা আগের দিন জানিয়ে দেওয়া হবে।
ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ২০১৬ সালের ৭ জুলাই ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য, এক নারী এবং এক জঙ্গিসহ চারজন নিহত হন। এ হামলায় পুলিশসহ ১৬ মুসল্লি আহত হন। কিন্তু তারপরও ভাটা পড়েনি ঐতিহাসিক এ ঈদগাহ ময়দানের ঈদের জামাতে মুসল্লিদের সমাগমে।
জনশ্রুতি আছে, বারোভূঁইয়া নেতা ঈশা খাঁর বংশধর শাহ সুফি সৈয়দ আহমদ ঈদের জামাতের মোনাজাতে ভবিষ্যতে মাঠে মুসল্লিদের প্রাচুর্যতা প্রকাশে ‘সোয়া লাখ’ কথাটি ব্যবহার করেন। অন্য একটি মতে, সেই দিনের ওই জামাতে এক লাখ ২৫ হাজার অর্থাৎ সোয়া লাখ লোক জমায়েত হন। ফলে ‘সোয়া লাখে’র অপভ্রংশ হয়ে ‘শোলাকিয়া’ নামটি চালু হয়ে যায়।
পরবর্তীতে ১৯৫০ সালে স্থানীয় দেওয়ান মান্নান দাদ খাঁ (মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর ষষ্ঠ বংশধর) ঈদগাহের জন্য ৪ দশমিক ৩৫ একর জমি শোলাকিয়া ঈদগাহে ওয়াকফ করেন। এ মাঠে ২৬৫টি কাতার আছে। প্রতিটি কাতারে ৫০০ মুসল্লি নামাজের জন্য দাঁড়াতে পারেন।
মুসল্লির উপস্থিতির দিক থেকে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত ঈদুল ফিতরের জামাতই এ উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ জামাত হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
Posted ০৮:৫১ | মঙ্গলবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain