রবিবার ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

শরিকদের ৫০-৬০ আসন ছাড়তে পারে বিএনপি

  |   বুধবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট

শরিকদের ৫০-৬০ আসন ছাড়তে পারে বিএনপি

• দু–এক দিনের মধ্যে আসন নিয়ে বৈঠক হবে
• জামায়াতকে ২০টি আসন ছাড়া হতে পারে
• এলডিপির জন্য ৫–৬টি আসনের কথা ভাবা হচ্ছে
• ২০-দলীয় জোটের আটটি দল ইসিতে নিবন্ধিত

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০-দলীয় জোটের শরিকদের সঙ্গে এখনো আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনায় বসেনি বিএনপি। তবে দলটির নীতিনির্ধারকেরা দুই জোটের শরিকদের আসন বণ্টন নিয়ে হিসাব-নিকাশ করছেন। তাঁরা ঐক্যফ্রন্ট ও ২০-দলীয় জোটের শরিকদের ৫০ থেকে ৬০টি আসন ছাড়তে চান। এর মধ্যে জামায়াতকে ২০টি আসন ছাড়া হতে পারে বলে জানা গেছে।

বিএনপির সূত্র জানায়, ২০ দলের শরিক জামায়াতে ইসলামী একাই ৬০টি আসন চায়। এর পরের চাহিদা অলি আহমদের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি)। তারা বিএনপির কাছে ইতিমধ্যে ৩০টি আসনের জন্য একটি তালিকা দিয়েছে।

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, এলডিপির জন্য বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা ৫ থেকে ৬টি আসনের কথা ভাবছে। এর মধ্যে এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ (চট্টগ্রাম-১৪), মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ (কুমিল্লা-৭), আবদুল করিম আব্বাসী (নেত্রকোনা-১) ও শাহাদাত হোসেন সেলিমকে (লক্ষ্মীপুর-১) জোটের প্রার্থিতার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয়েছে।

২০ দলের অন্য শরিকদের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) আন্দালিব রহমান পার্থ (ভোলা-১), জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) শফিউল আলম প্রধানের মেয়ে তাসমিয়া প্রধান (পঞ্চগড়-২), মসিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে পিপলস পার্টি অব বাংলাদেশের রীতা রহমান (নীলফামারী-১) ও মাইনরিটি জনতা পার্টির সুকৃতি কুমার মণ্ডলও (যশোর-২) জোটের মনোনয়ন পেতে পারেন বলে আলোচনা আছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম এবং খেলাফত মজলিস ও জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামকে একাধিক আসনে ছাড় দেওয়া হতে পারে।

বিএনপি উচ্চপর্যায়ের সূত্রে জানা যায়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দলগুলোর মধ্যে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে ঢাকা-১০ আসনে, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুকে ঢাকা-৭ ও নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরীকে ঢাকা-৬ আসনে প্রার্থী করার চিন্তাভাবনা চলছে। ঐক্যফ্রন্টের অন্য নেতাদের মধ্যে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ মৌলভীবাজার-২, মাহমুদুর রহমান মান্নাকে বগুড়া-৭, আ স ম রবকে লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে ও আবদুল কাদের সিদ্দিকীকে টাঙ্গাইলের (৪ ও ৮) দুটি আসনের একটিতে প্রার্থী করা হতে পারে। তাঁদেরসহ ঐক্যফ্রন্টের বাকি নেতাদের বিষয়ে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হবে।

জোটসূত্রে জানা গেছে, ২০–দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্টের শরিক দলগুলো যার যার মতো করে নিজেদের চাহিদার তালিকা তৈরি করছে, যা বিএনপি–সংশ্লিষ্ট নেতাদের হাতে দিচ্ছে। এর মধ্যে শরিক দলগুলোর মধ্যে যোগ্য প্রার্থী কে কোন আসনে আছেন, সে বিষয়ে বিএনপিও খোঁজখবর নিচ্ছেন। দু–এক দিনের মধ্যে এ নিয়ে শরিকদের সঙ্গে বিএনপি আলাদাভাবে বসবে।

২০–দলীয় জোটের আটটি দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। বাকি অনিবন্ধিত দলগুলোর দু–একজন নেতাকে নিয়েও চিন্তাভাবনা আছে বলে জানা গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক হয়। তাতে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না, বৈঠক শেষে এ নিয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেন। জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এ বিষয়ে আরও পরে আলোচনা হবে।  প্রথম আলো

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৫:১৭ | বুধবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com