| বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
কামাল মণ্ডল। দুইযুগেরও বেশি হলো মহাখালীতে চা বিক্রি করছেন। বাড়ি অন্য জেলায় হলেও এখানেই ভোট দেন মণ্ডল। মেয়র থেকে শুরু করে জাতীয় নির্বাচন- অনেক ভোট দেখেছেন কামাল মণ্ডল। তার মতে, ঢাকা-১৭ আসনটি প্রত্যেক নির্বাচনেই শেষমেশ মেহমানদের ভাগ্য পড়ে। স্থানীয় কেউ প্রতিনিধি হতে পারেন না। দল থেকেও স্থানীয়দের মনোনয়ন দেয়া হয় না।
ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনটি রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত। গুলশান, বনানী, ঢাকা সেনানিবাস ও ভাষানটেকের কিছু অংশ নিয়ে এই সংসদীয় আসন গঠিত। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবার দৃষ্টি এখন ঢাকা-১৭ আসনের দিকে। কারণ এই আসনে লড়ছেন মহাজোটের দুই প্রার্থী। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ (লাঙ্গল) ও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনিত চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান ফারুক। একই আসনে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ নিয়ে হাজির হয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) আন্দালিব রহমান পার্থ। যিনি এর আগে নিজ এলাকা ভোলা থেকে লড়েছেন।
এদিকে ওই আসনে লড়বেন তৃণমূল বিএনপির সভাপতি ও বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন বিকল্পধারার প্রার্থী মাহী বি. চৌধুরী। কেউই কিন্তু এই আসনের স্থানীয় নন। সকলেই বাইরে থেকে এসে এখানে নির্বাচন করছেন।
গেল নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাই হয়েছে। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার বিপরীতে কাপাসিয়া ছেড়ে ঢাকা ১৭-তে নির্বাচন করেছেন বিএনপির প্রয়াত স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে এই আসনে সংসদ সদস্য হন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের এস এম আবুল কালাম আজাদ। কেউই স্থানীয় নিসাবি নন।
এই আসনটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অধীনে। উত্তর সিটিতে মেয়র নির্বাচনেও ছিল একই হাল। নির্বাচন করেছিলেন আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়াল ও আনিসুল হক।
তাই প্রত্যেক নির্বাচনে এই আসনটিকে অনকেই গুরুত্বপূর্ণভাবে দেখেন। কারণ প্রতিবারই এই আসনে নির্বাচন করেন সব ভিআইপি রাজনীতিবিদরা। তাই এই আসনকে ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে সাধারণ মানুষের মনে।
আমাদের সময় ডটকম
Posted ২২:১৬ | বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain