নওগাঁ : নওগাঁর মান্দায় মাথার চুল কেটে দিয়ে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী আবদুল কুদ্দুসকে (৩২) আটক করেছে থানা পুলিশ। বুধবার (৩০ নভেম্বর )সকালে উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের ছোটমুল্লুক আদর্শ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। আটক আবদুল কুদ্দুস ছোটমুল্লুক গ্রামের মৃত বাবর আলী ভুট্টুর ছেলে। তার স্ত্রীর নাম নুরজাহান বেগম (২৭)। তিনি নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার রামগাঁ গ্রামের জহির উদ্দিনের মেয়ে। এ তাদের সংসাারে দুটি শিশু সন্তান রয়েছে।
নির্যাতনের শিকার নুরজাহান বেগম জানান, সংসারের খরচ যোগাতে তার স্বামী আবদুল কুদ্দস রাজধানী ঢাকায় থেকে রিকসা চালান। গত ২৫ নভেম্বর তিনি বাড়ি আসেন। ওইরাতে পরকীয়ার মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে তাকে বেদম মারধোর করা হয়। একই অভিযোগে পরদিন রাতে দ্বিতীয় দফায় মারধোর করেন স্বামী আবদুল কুদ্দুস। এ সময় কাঁচি দিয়ে তার মাথার চুল কেটে ফেলা হয়। ভুক্তভোগী নুরজাহান বেগম অভিযোগ করে বলেন, বুধবার সকালে আবারও তাকে মারধোর করে তার গলায় ছুরি ঠেকিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ সময় মেয়ে কারিমা খাতুন বাবার পা জড়িয়ে ধরে কান্নাকাটি শুরু করেন। এ সুযোগে বাড়ি থেকে পালিয়ে জয়বাংলা মোড়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য বিষ্ণুপদ সাহার দোকানঘরে আশ্রয় নিয়ে তিনি জীবন রক্ষা করেন।
এ ঘটনায় জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবদুল কুদ্দুস স্ত্রীকে নির্যাতন ও চুল কেটে দেয়ার বিষয়টি সত্য বলে স্বীকার ও করেছেন। কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বিষ্ণুপদ সাহা বলেন, ঘটনার বিষয়ে অবহিত হয়ে গ্রামপুলিশের সহায়তায় আবদুল কুদ্দুসকে আটক করে ভিকটিমসহ তাকে ইউনিয়ন পরিষদে নেয়া হয়। পরে পুলিশ আসলে আবদুল কুদ্দুসকে সোপর্দ করা হয়। মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর-এ-আলম সিদ্দিকী বলেন, ঘটনায় ভিকটিম নুরজাহান বেগম বাদি হয়ে স্বামী আবদুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন । বৃহস্পতিবার সকালে আসামি আবদুল কুদ্দুসকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
Like this:
Like Loading...
Related