| বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি ২০১৪ | প্রিন্ট
ষ্টাফ রিপোর্টার : দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনাকে পুর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, ৫ জানুয়ারির কলঙ্কিত নির্বাচনের পর দেশের জনগণ ও বিদেশীদের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নিতেই পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর এসব হামলা চালানো হচ্ছে। ভোট না দেয়ার কারণেই ক্ষিপ্ত হয়ে সরকার দলীয়রা এ হামলা চালিয়ে তার দায় অন্যের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত মানববন্ধন সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা এসব কথা বলেন।
সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ দেশের সকল নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে বক্তারা এ ব্যর্থতায় দায়ে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ দাবি ও জড়িতদের বিচারে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান।
বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএফইউজের মহাসচিব শওকত মাহমুদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ন সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।
সভাপতির বক্তৃতায় রুহুল আমিন গাজী বলেন, কারচুপির নির্বাচনের পর দেশের বিভিন্ন জেলায় সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে সরকার উদোর পিন্ডি বুদোর ঘারে চাপানোর চেষ্টা করছে। তিনি অবিলম্বে হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শান্তি নিশ্চিতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানান। অন্যথায় সাংবাদিকরা রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে হুশিয়ারি দেন। এসময় অবিলম্বে¦ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তি, আমার দেশ, দিগন্ত ও ইলামিক টিভি চালুর দাবি জানান তিনি ।
হামলার ঘটনা সরকারের পরিকল্পনায় হয়েছে উল্লেখ করে শওকত মাহমুদ বলেন, এ হামলা পরিকল্পিত না হলে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে জড়িতদের গ্রেফতার করছে না কেন?
তিনি বলেন, “বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা রাস্তায় নামলেই পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে, আর সারা দেশে এতো সংখ্যক সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় মাঠে থাকার পরেও দেশের কোথাও যৌথবাহিনীর কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। এতেই বোঝা যায় সরকার পরিল্পতভাবে এ হামলা চালাচ্ছে। এর দায় অন্যের ঘারে চাপানোর চেষ্টা করছে। তিনি যেকোনো মূল্যে এ হামলা প্রতিহতের ঘোষণা দেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে সাজানো উল্লেখ করে সাংবাদিক এই নেতা বলেন, নিজেদের কাটাছেড়া সংবিধানও সরকার মানছেন না। সংবিধান লঙ্ঘন করে তারা শপথ নিয়েছেন।”
দেশ গভীর সঙ্কটে পড়েছে মন্তব্য করে ইলিয়াস খান বলেন, “দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। এখন কলঙ্কিত নির্বাচন থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নিতে আওয়ামী লীগ সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।”তিনি এর বিরুদ্ধে জনগণকে পাড়ায় পাড়ায় গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
কাদের গণি চৌধুরী বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দেশের কেউ নিরাপদ নয়। সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সহ দেশের নাগকিরদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।” এ ব্যর্থতার জন্য তিনি সরকারের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বলেন, অন্যথায় সাংবাদিকরা রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।
Posted ১০:০৬ | বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin