| শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
নির্বাচনের দিন সকল হুমকি-ধমকি ও ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে দলে দলে ফজরের নামাজ পড়েই ভোটের লাইনে দাঁড়ানোর জন্য সমর্থক ও নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগার থেকে সাধারণ ভোটার, ধানের শীষের সমর্থক ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী দুঃশাসন বিরোধী বার্তা দিয়েছেন। খালেদা জিয়া ভোটারদের উদ্দেশে বলেছেন, রোববার (৩০ ডিসেম্বর) আপনাদের সুযোগ আসবে স্বৈরশাসকদের হাত থেকে মুক্তি লাভের। দেশ মুক্ত করার। আপনাদের এক একটি ভোট নিশ্চিত করতে পারে জনগণের মুক্তি ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ।
শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ভোট শুরুর আগে ব্যালট বাক্স পরীক্ষা করবেন। ভোট দিয়ে কেন্দ্রের আশপাশে থাকবেন। আপনারা শুধু সাধারণ ভোটারই নন, ভোটারদের অতন্দ্র প্রহরী। ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণনা করে কে কত ভোট পেলো তা নিশ্চিত না হয়ে ভোটকেন্দ্র ত্যাগ করবেন না।
রিজভী বলেন, আপনারা ভোটকেন্দ্র পাহারা দেওয়ার মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা করবেন। আজ (শনিবার) বিকেল থেকেই পালাক্রমে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিবেন। ফজরের নামাজ পড়েই ভোটের লাইনে দাঁড়ানোর জন্য আপনাদেরকে অনুরোধ করছি।
সাদা কাগজে সই করবেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো অবস্থাতেই প্রিজাইডিং অফিসারের সই ছাড়া সই করবেন না। ফলাফল নিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে রিটার্নিং অফিসার বা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে যাবেন।
আপনাদের মাধ্যমে ধানের শীষের নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের বলতে চাই-সকল প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে, যোগ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় জনগণ অগণতান্ত্রিক শক্তি দুর্বৃত্তদের প্রতিরোধ করা শুরু করেছে। জনগণের শক্তির কাছে দুর্বৃত্তরা পরাজিত হবেই, এটাই ইতিহাসের শিক্ষা।
বিএনপির এ নেতা বলেন, রোববারের নির্বাচন নিয়ে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী নানা কায়দা-কানুন ও পরিকল্পনা করছে। তারা ময়ূরের সিংহাসন থেকে ছিটকে পড়ার ভয়ে এই কয়েকদিন রক্তাক্ত হামলায় সারাদেশকে আতঙ্কের জনপদে পরিণত করেছে। বিএনপির মিছিল ও নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর চালানোসহ সহিংস আক্রমণে তাদের রক্ত ঝরাচ্ছে। আগের রাতে ব্যালটে নৌকা মার্কায় সিল মেরে রাখার পরিকল্পনাসহ নানামুখী নীলনকশা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চলছে। শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) থেকে নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ থাকলেও আওয়ামী ক্যাডাররা বিভিন্ন আসনে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়েছেন।
রিজভী বলেন, গত ১০ বছর ইতিহাস লেখলে দেখা যাবে শুধু আতঙ্ক, ভয়, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, সহিংসতা, রক্তপাত আর বিরোধী দলসহ ভিন্ন মত ও বিশ্বাসের ব্যক্তিদের দমনের দশক। গণতন্ত্রের অস্থিমজ্জাকে নিংড়িয়ে নিয়ে গোরস্থানে পাঠানোর দশক। আর বাক-স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে ফাঁসির মঞ্চে তোলার দশক।
তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকেই বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হামলা ও গ্রেফতারের হিড়িকের ধারাবাহিকতায় গত ০১ সেপ্টেম্বর থেকে এর মাত্রা বৃদ্ধি করা হয়েছে চরমে। তফসিল ঘোষণার পর মামলা-হামলা-গ্রেফতারের স্পিড লিমিট নেই। যেনো এই নির্বাচনের চূড়ান্তক্ষণে সারা বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতাকে পরাধীনতার শৃঙ্খলে বন্দি করেছে অবৈধ শাসকগোষ্ঠী।
Posted ১৪:১৯ | শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain