রবিবার ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

ব্যবসায়ীদের ৬২৫ কোটি টাকা ফেরতের আদেশ স্থগিত

  |   মঙ্গলবার, ০৬ নভেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট

ব্যবসায়ীদের ৬২৫ কোটি টাকা ফেরতের আদেশ স্থগিত

১/১১ এর সময় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেওয়া ৬২৫ কোটি টাকা ফেরতের আদেশ স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার ৬ অক্টোবর দুপুরে আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

এর আগে ২০১৭ সালে ১৬ মার্চ ১/১১-এর সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ১১টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে নেওয়া ৬১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ফেরত দিতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছে আপিল বিভাগ।
তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংকের করা আপিল খারিজ করে দেন।

মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, এস আলম গ্রুপের সাতটি প্রতিষ্ঠান ৬০ কোটি টাকা, দ্য কনসলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোম্পানি লিমিটেড এবং বারাউরা টি কোম্পানি লিমিটেড ২৩৭ কোটি ৬৫ লাখ ৪০ হাজার ২ টাকা ১৭ পয়সা, মেঘনা সিমেন্ট মিল ৫২ কোটি, বসুন্ধরা পেপার মিল ১৫ কোটি, ইউনিক ইস্টার্ন প্রাইভেট লিমিটেড ৯০ লাখ, ইউনিক সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ ৭০ লাখ, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস ১৭ কোটি ৫৫ লাখ, ইউনিক ভকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারের স্বত্বাধিকারী ৬৫ লাখ, বোরাক রিয়েল এস্টেট প্রাইভেট লিমিটেড ৭ কোটি ১০ লাখ, ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড ৩৫ কোটি এবং ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি লিমিটেড ডেভেলপমেন্ট ১৮৯ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে পৃথক ১১টি রিট করেছিল।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা নেয় সেনাসমর্থিত ফখরুদ্দীন আহমেদের সরকার। জরুরি অবস্থা জারি করে দুর্নীতি দমন অভিযানের কথা বলে গ্রেপ্তার করা হয় দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের। ওই সময়ই ২০০৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০০৮ সালের নভেম্বরের মধ্যে প্রায় ৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অগ্রিম আয়কর হিসেবে অর্থ আদায় করা হয়। সেই সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের সংরক্ষিত সরকারি কোষাগারে ওই টাকা জমা দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ওই জরিমানার টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য ব্যক্তি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হাইকোর্টে পৃথক ১১টি রিট করে।
২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে হাইকোর্টে দেওয়া রায়ে রিটকারী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ওই অর্থ ৯০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই অর্থের পরিমাণ ৬১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। এর ওপর শুনানি নিয়ে ২০১৫ সালের ২ আগস্ট আপিল করার আবেদন মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেন। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক পৃথক আপিল করে। গতকাল সেই আপিল খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। প্রথম আলো

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৫:৩২ | মঙ্গলবার, ০৬ নভেম্বর ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com