শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রোবটিক্স এরোনটিক্স অ্যান্ড ইন্টারফেসিং রিসার্চ গ্রুপ এর সদস্যরা অবিশ্বাস্য সত্যকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। তৈরী করেছেন মানুষ্যবিহীন ড্রোন। মঙ্গলবার দুপুরে শাবির আকাশে উড়ানো হয়েছে মানুষ্যবিহীন ড্রোন। বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে আনুষ্টানিকভাবে ড্রোন’র উদ্বোধনী যাত্রা শুরু বলে নিশ্চিত করেছেন ড্রোন তৈরি দলের সদস্য রেজোয়ানুল হক নাবিল।

এই গ্রুপের সদস্যরা গত বছর নৌ যানের নির্বিঘ্নে চলাচলের জন্য ট্র্যাকিং ডিভাইস, সেপটিক ট্যাংকে গ্যাস বিকিরণে মানুষের মৃত্যু রোধে কার্বন মনোক্সাইড শনাক্তকারী যন্ত্র, অন্ধদের চলাফেরার জন্য ইলেকট্রনিক যন্ত্র, লেজার ডিভাইসসহ নানা ধরনের প্রযুক্তিপণ্য উদ্ভাবন করে আলোড়ন সৃষ্টি করে দেন। ড্রোন তৈরি টিমের তত্বাবধানে রয়েছেন শাবির ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রানিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তবে বুধবার ড্রোন উড়বে কি-না এ বিষয়ে আগেভাগে তিনি কোনো কথা বলতে চাননি।

গত বছরের এপ্রিল থেকেই ড্রোন তৈরির তাত্ত্বিক কাজ শুরু হয়। আর নতুন বছরের শুরুতেই ড্রোনের একটা বিমান আকৃতির পরীক্ষামূলক ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সংযোজনের কাজ শেষে বুধবার পরিক্ষামূলকভাবে তা আকাশে উড়ানোর কথা জানিয়েছেন ড্রোন তৈরি দলের সদস্য রেজোয়ানুল হক নাবিল।

তিনি জানান, এই ড্রোন দিয়ে দেশের সীমানা পাহারা দেওয়া, উপর থেকে তাৎক্ষণিক ছবি তোলা এবং আবহাওয়া সম্পর্কে তথ্য জানা যাবে। বিশেষত; আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের চাহিদানুযায়ী ড্রোনটি ব্যবহার করতে পারবে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী ড্রোনের বিভিন্ন ডিভাইসও অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আর ড্রোনটি সহজ পদ্ধতিতে চালনা করা যাবে- জানিয়ে নাবিদ বলেন, আজ আনুষ্টানিকভাবে আত্বপ্রকাশ ঘটবে তৈরীকৃত ড্রোনের।

নাবিল ছাড়াও ড্রোন তৈরি দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন পদার্থ বিজ্ঞানের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র রবি কর্মকার এবং ২য় বর্ষের ছাত্র মারুফ হোসেন রাহাত। তারা সকলেই শাবির রোবটিক্স এরোনটিক্স অ্যান্ড ইন্টারফেসিং রিসার্চ গ্রুপের সদস্য।