নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩ | প্রিন্ট
সরকার পতনের স্বপ্ন থেকে বিএনপি দূরে সরে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, সরকারের পতন ঘটানোর জন্য গত ১৪ বছর ধরে বিএনপি আন্দোলন করতে করতে তাদের আন্দোলন খেলা শেষ হয়ে গেছে। তারা (বিএনপি) ঝিমিয়ে পড়েছে।
শুক্রবার বিকেলে দেশ, উন্নয়ন, সরকার ও শান্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্য জোট।
হানিফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার টানা ১৪ বছর ক্ষমতায় থেকে এখন ১৫ বছরে পা দিয়েছে। এ ১৪ বছরে সরকার কী কাজ করেছে সেটা দেশবাসী জানে। কোথায় ছিল দেশ, আর এখন কোথায় আছে।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা (বিএনপি) রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে কী করবেন, তার থেকে আপনারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকতে কী করেছেন সেটি যদি বলতেন, তাহলে জাতি আপনাদের কথার ওপর ভরসা পেত, আস্থা পেত। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত আপনারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন। আমি জানি এখানে আপনাদের কোনো বক্তব্য থাকবে না।
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল বাংলাদেশের সবচেয়ে দুঃসময় ও ক্রান্তিকাল ছিল মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, তারা (বিএনপি) কোথায় রেখে গিয়েছিল বাংলাদেশকে। সরকারের মধ্যেও তখন সরকার ছিল। একদিকে সরকারপ্রধান ছিলেন খালেদা জিয়া, আরেকদিকে হাওয়া ভবন বানিয়ে অঘোষিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তার ছেলে তারেক রহমান। সেখান থেকে রাষ্ট্রের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ হতো। বিশেষ করে দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সেখান থেকে নিয়ন্ত্রিত হতো।
বিএনপির আমলে আওয়ামী লীগের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, শুধু মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মী নয়, অনেক শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকে তখন হত্যা করা হয়েছিল। জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল। এটাই ছিল বিএনপির রাষ্ট্র শাসন। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। সে হামলায় ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছিলেন, ৫০০ জনের বেশি আহত হয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগের এ নেতা আরো বলেন, বিএনপির আমলে বিবিসির অনলাইনে নিউজ বের হয়েছিল, বাংলাদেশে ১২৫টি জঙ্গি সংগঠনের অস্তিত্ব আছে। অনেকের সাক্ষাৎকার নিয়ে ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সমস্ত জঙ্গি সংগঠনগুলো হাওয়া ভবন থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। তারেক রহমানের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ। এশিয়ার সবচেয়ে কুখ্যাত মাফিয়া ডন হিসেবে চিহ্নিত দাউদ ইব্রাহীমের সঙ্গে তারেক জিয়া দুবাইতে মিটিং করতো।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, দেশের উন্নয়ন বিএনপি এবং জামায়াতের পছন্দ নয়। কারণ দেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে এ দুইটি দলের সম্পর্ক নেই। পাকিস্তান থেকে এদের কলকাঠি নাড়ানো হয়। ৭১ সালে যারা পাকিস্তানের পক্ষে থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা এখনো পশ্চিমা দেশে থেকে কলকাঠি নাড়ে। এ সরকারের পতন ঘটানোর স্বপ্ন দেখে।
বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্য জোট ও ইসলামী ডেমোক্রেটিক অ্যালাইন্সের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা মনিরুজ্জামান রব্বানির সঞ্চালনায় সুধী সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য ও সংসদ সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সহ-সভাপতি সফি উদ্দিন মোল্লা, ইসলামী ডেমোক্রেটিক অ্যালাইন্সের মহাসচিব অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম খান, নেজামে ইসলাম বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা হারিসুল হক প্রমুখ।
Posted ১৫:৪১ | শুক্রবার, ১০ মার্চ ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain