| সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউপির বেকামলিয়া ও পিপড্ডা গ্রামে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি প্রার্থীর পোস্টার ছিড়ে দলীয় অফিস ভাঙচুর করতে গেলে এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে পড়ে। পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের রেখে যাওয়া ৩টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী।
রোববার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলা বিএনপির শীর্ষ নেতা মিয়া মোহাম্মদ ইদ্রিস পুলিশের কাছে গিয়ে ভাতিজার বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ৪০-৫০টি মোটরসাইকেল নিয়ে রোবরার রাতে বিভিন্ন চায়ের দোকানে থাকা টাঙ্গানো পোষ্টারগুলোও ছিড়ে পেলেন।একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-১০ আসনের বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরীর পোষ্টার দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা দোকানিদেরকে গালমন্দ করতে পোষ্টারগুলো ছিঁড়ে পেলে। পরে বেকামলিয়া শহীদ জিয়া স্মৃতি সংসদ অফিস ভাঙচুরে এগিয়ে গেলে স্থানীয়রা বাঁধা দেয়। এতে বিক্ষুদ্ধ জনতা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ধাওয়া করলে তারা ৩টি মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও মোটরসাইকেলগুলো থানায় নিয়ে আসে।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি নজরুল ইসলাম পিপিএম দাবি করেন, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা নৌকা প্রতীকের প্রচার করতে গেলে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালায়। মিয়া মোহাম্মদ ইদ্রিসের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। তবে এ ঘটনায় ছাত্রলীগ ৭জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
এ অভিযোগ অস্বকীর করে ইদ্রিস জানান, গত দুই মাস ধরে আমি এলাকায় নেই। কি ভাবে আমি এ ঘটনাটি ঘটাবো। আমি শুনেছি ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর, পোষ্টার ছিড়ে পেলেছে ও অফিস ভাঙচুর করেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক সুমনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
Posted ২২:১০ | সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain