| বুধবার, ১১ এপ্রিল ২০১৮ | প্রিন্ট
নিরস্ত্র একজন ফিলিস্তিনিকে গুলি করে ইসরায়েলি সৈন্যরা উল্লাস করছে- এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পর ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা এর তদন্ত করছে।
রাইফেলের ওপর বসানো টেলিস্কোপের ভেতর দিয়ে তোলা ভিডিওটি ইসরায়েলি টিভিতেও ব্যাপক প্রচার পায় এবং ইসরায়েলি রাজনীতিবিদরাও এর নিন্দা করেছেন।
সামরিক বাহিনী বলেছে, ভিডিওটি সম্ভবত গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে তোলা এবং কয়েক মাস আগের ঘটনা। এমন এক সময় একজন ফিলিস্তিনিকে গুলি করার ভিডিওটি বেরুলো যখন গাজায় বেশ কিছুদিন ধরে বিক্ষোভ চলছে।
সোমবার প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, তিন জন লোক একটা বেড়া বা প্রতিবন্ধকের দিকে এগিয়ে আসছে। এর পর একটা গুলি করার মত শব্দ শোনা যায়। সাথে সাথে তিন জন লোকের একজন- যে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল এবং নিরস্ত্র ছিল- সে মাটিতে পড়ে যায়।
এর পর হিব্রু ভাষায় একজনকে উল্লসিতভাবে বলতে শোনা যায়: “ওয়াও, দারুণ ভিডিও, হ্যাঁ। কুকুরের বাচ্চা! কি দারুণ একটা ভিডিও!”
এর পর বেশ কিছু লোককে দেখা যায় দৌড়ে গুলি-খাওয়া লোকটিকে উদ্ধার করতে যাচ্ছে। সে বেঁচে আছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
ইসরায়েলের চ্যানেল টেন টেলিভিশনে এটা প্রথম দেখানো হয়, এর পর এটি অনলাইনে ‘ভাইরাল’ হয় অর্থাৎ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয়।
গত দু’ সপ্তাহ ধরেই গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের সময় যেভাবে তাদের ওপর ইসরায়েল গুলি চালাচ্ছে- তার ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
ইসরায়েল বলছে, যারা সীমান্তের বেড়া টপকানোর চেষ্টা করেছে বা অস্ত্র ও বিস্ফোরক ব্যবহার করেছে- শুধু তাদের বিরুদ্ধেই তাজা বুলেট ব্যবহার করা হচ্ছে।
ভিডিওটি দেখার পর ইসরায়েলি আরব এমপি আয়মান ওদেহ টুইট করেন- ”মানুষের মনকে আতংকিত করে, যাতে দেখা যাচ্ছে- যে লোকটি কাউকে কোন হুমকি দেয়নি তাকে হত্যা করে উল্লাস করা হচ্ছে।”
তিনি দায়ী ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেন। ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির ইয়েহুদা গ্লিক বলেন, “ভিডিওটি দেখা খুব কঠিন, এটা আমাদের বিচলিত ও মর্মাহত করে।”
অন্য অনেকে আবার অন্যরকম মতও দেন। জননিরাপত্তা মন্ত্রী জিলাদ এরদান বলেন, “এ ভিডিও নিয়ে এত হৈচৈ-এর কি আছে?” তেলআবিবে ‘আরাম কেদারায় বসে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি বিচার করার’ সমালোচনা করেন তিনি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এর তদন্ত করার কথা বললেও মানবাধিকার গ্রুপ বিটিসেলেম বলেছে, সামরিক তদন্তের ওপর তাদের খুব কমই আস্থা আছে। সূত্র: বিবিসি
Posted ১৩:৫৬ | বুধবার, ১১ এপ্রিল ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain