| শনিবার, ২১ এপ্রিল ২০১৮ | প্রিন্ট
পুলিশের কাছে কোনো রাজনৈতিক চাহিদা নেই বলে জানিয়েছেন ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা সাবের হোসেন চৌধুরী। এলাকায় বিরোধী দলকে হয়রানি করা হোক পুলিশকে এমন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
শনিবার সকালে সবুজবাগ থানার বহুতল ভবন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘চাহিদা একটাই, সেটা হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা। পুলিশের কাজ মানুষের পাশে দাঁড়ানো, মানুষকে হয়রানি করা নয়।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘পুলিশের কাছে কোনো রাজনৈতিক চাহিদা নেই, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাই একমাত্র চাহিদা। আমার এলাকায় বিরোধী দলকে হয়রানি করা হোক, পুলিশকে এমন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।’
সর্বস্তরে আইনের শাসন নিশ্চিতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের নাম ব্যবহার করে কেউ যদি মাদকের সঙ্গে যুক্ত থাকে, অপরাধীকে প্রশ্রয় দেয় বা জানমালের নিরাপত্তার হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে আগে তাকে গ্রেপ্তার করবেন। কারণ আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। আমরা কোনো অপরাধীকে গ্রেপ্তারের পর শুনতে চাই না, সে আপনাদের দলের পরিচয় দেয়।’
মাদক ও জুয়াকে ‘মাদার ক্রাইম’ আখ্যায়িত করে এই সাংসদ বলেন, ‘দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে। এর ফলে পুলিশ তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সফলভাবে পালন করতে পারবে।’
গত বছর ঢাকায় অনুষ্ঠিত আইপিইউ সম্মেলকে দেশের অন্যতম বড় আয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা অনেক কিছুই বলিনি। ১৪০টি দেশের সংসদের প্রতিনিধি হিসেবে ১৪০০ জন অংশ নিয়েছিলেন। ৯০টি দেশের স্পিকার-ডেপুটি স্পিকার সম্মেলনে অংশ নেন। ওই আয়োজনে ঝুঁকি ছিল, এ নিয়ে অনেক চিঠিপত্র চালাচালি হয়েছিল। আমরা বিভিন্ন থ্রেট এনালাইসিস করেছি। ডিএমপি অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সফলভাবে এ আয়োজন সফল করতে সহযোগিতা করেছিল।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘২০১৮ সাল আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বছর নির্বাচনকে ঘিরে কোনো অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা হলে তা কঠোরভাবে দমন করা হবে। ১৩-১৪ সালে বোমা সন্ত্রাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে দেওয়া হবে না।’
পুলিশের গাড়ি স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন প্রতিটি থানায় পর্যাপ্ত গাড়ি দেওয়া হচ্ছে। আগে প্রয়োজনে অন্য জায়গা থেকে গাড়ি ভাড়া নিতো, আর সেই ভাড়ার টাকা পরিশোধ করতে চাঁদা তুলতে হতো। এখন গাড়ি আমরা দিই, তেলও আমরা দিই, সুতরাং কোনো চাঁদাবাজি হবে না।’
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘পুলিশের তৎপরতায় বর্তমানে ছিনতাই নেই, অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা নেই, চাঁদাবাজের দৌরাত্ম্য নেই। যেকোনো চাঁদাবাজকে স্পষ্টভাবে দমন করা হবে।’
পুলিশের মধ্যে আগে থানা পুলিশকে ভালো হতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘মিথ্যা মামলা বা মাদক দিয়ে কাউকে অপরাধী সাজানোর প্রমাণ পেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মাদকের সঙ্গে কোনো পুলিশ সদস্য জড়িত থাকার প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ১৬:৫৭ | শনিবার, ২১ এপ্রিল ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain