| সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সারাদেশে নৌকার গণজোয়ারের মুখে কোনো অশুভ শক্তি টিকতে পারবে না। প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। সারা দেশে বেশিরভাগ মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে তারা শেখ হাসিনার নৌকায় ভোট দেবে।’
আজ সোমবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতুর নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সবচেয়ে দুঃখজনক, সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, ড. কামাল হোসেন, আজ যে সুরে তিনি কথা বলছেন, এটা তাঁর মুখে মানায় না। এত নিচে তিনি নেমে যাবেন। আজকে আওয়ামী লীগকে বিরোধিতা করতে গিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে মূলধারাকে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই ধারাকে, তথা বঙ্গবন্ধুর কন্যা, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তিনি রাজনীতি করেছেন, আজকে বঙ্গবন্ধুর কন্যাই হচ্ছে তাঁর প্রধান শত্রু। তাঁর কার্যকলাপ, আচার-আচরণে সেটাই মনে হয়, এটা দুর্ভাগ্যজনক।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত তাদের বন্ধুত্ব পুরোনো। নতুন করে ছদ্মবেশী গণতন্ত্রী, ছদ্মবেশী মুক্তিযোদ্ধা, যেমন ধরুন- ড. কামাল হোসেন, কাদের সিদ্দিকী, আরো কয়েকজন আছেন, এরাও আজকে সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন এবং ধানের শীষে একই মার্কায় ভোট করছেন। এটা স্ববিরোধিতা।’
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ঠেকাতে যারাই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে, তারা আওয়ামী লীগ বা অন্য যে দলেরই হোক নির্বাচন কমিশন যেন তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। এ ব্যাপারে তাঁর সরকারের বা দলের কোনো আপত্তি নেই।’
নিজ দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ব্যাপারে কাদের বলেন, ‘আমরা আজ অপেক্ষা করব, দেখি, এখন তো আর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করার কোনো সুযোগ নেই। কাজেই এ সময়ে প্রেস কনফারেন্স করে প্রত্যাহার করতে হবে। তো আমরা আগামী কাল পর্যন্ত দেখব প্রত্যাহার হয় কি না, কত জন প্রত্যাহার করে। যারা বিদ্রোহী আপনারা প্রেস ব্রিফিং করে প্রত্যাহার করবেন, অন্যথায় আমাদের আগের যে ঘোষণা, আমাদের বর্ধিত সভার যে সিদ্ধান্ত সেই সিদ্ধান্ত অচিরেই আমরা কার্যকর করব।’
সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, ‘দ্বিতীয় মেঘনা, দ্বিতীয় গোমতির কাজ আগামী বছর মে-জুন নাগাদ শেষ হবে; ডিসেম্বর মাসে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর কাজ শেষ হচ্ছে। ইলেকশনের আগে হয়ে যাবে।’
Posted ১৪:৩৯ | সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain