নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ০২ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
সংবিধান সংশোধন করে নির্বাচনকালীন সময় জাতীয় সরকারসহ ১৯ দফা প্রস্তাব দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তারা বাংলাদেশকে কল্যাণরাষ্ট্রে রূপান্তর করতে সংস্কার প্রস্তাবও দিয়েছে দলটি।
সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলটির জাতীয় সম্মেলনে এই ১৯ দফা প্রস্তাব করা হয়।
ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, ক্ষমতার পালাবদলের সময় দেশে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, কোনো দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন বর্তমান বাস্তবতায় সম্ভব নয়। সেজন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের প্রস্তাব করছে।
তিনি বলেন, জনমতের ভিত্তিতে শাসনতন্ত্রের সংস্কার, বাংলাদেশের শাসনতন্ত্র তথা সংবিধানকে যথেচ্ছা সংশোধন করে জন-অধিকার খর্ব করার ঢাল বানানো হয়েছে। বর্তমান সংবিধান নিয়ে দেশের কোনো পক্ষই সন্তুষ্ট নয়। বিরোধীরা এটাকে সংস্কার করতে চাইছে।
ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সরকার পক্ষও বাহাত্তরের সংবিধানে ফেরত যাওয়ার কথা বলে বর্তমান সংবিধানের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে। ঐতিহাসিক বাস্তবতা ও চলমান গণঅসন্তোষ বিবেচনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এ ভূখণ্ডের মানুষের হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য বোধ, বিশ্বাস ও মনস্তত্ত্ব আমলে নিয়ে এবং গণভোটের মাধ্যমে জনগণের সমর্থনের ভিত্তিতে সংবিধানের সামগ্রিক সংশোধনের প্রস্তাব করছে।
দলটি প্রশাসনকে দক্ষতা ও সততার ভিত্তিতে ‘জনতার সেবক দর্শন’-এ খোলাফায়ে রাশেদার আদর্শে গড়ে তোলার প্রস্তাব করেছে।
দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, সেপারেশন অব পাওয়ার নীতির প্রয়োগ করে শাসন বিভাগ, আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন ও ন্যায়পাল বিভাগকে পরস্পর থেকে স্বাধীন ও স্বনির্ভর করে গড়ে তোলা হবে।
অর্থ খাত, অর্থনীতি, শিল্পায়ন, কৃষি ও জ্বালানি খাতে বিদ্যমান সব দুর্নীতি-অনিয়ম দূর করতে, খাতগুলোকে শক্তিশালী ও বহুমাত্রিক করতে এবং স্বনির্ভর এনার্জি সেক্টর নির্মাণে জাতীয় কাউন্সিল গঠন করা, উৎপাদক কৃষক ও ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় বাজার ব্যবস্থাপনা তথা পণ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণসহ পুরো ব্যবস্থাকে একটি সমন্বিত ব্যবস্থার অধীনে এনে নিত্যপণ্যের মূল্য স্থিতিশীল করা, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ও স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি গড়ে তোলা হবে।
Posted ১০:০১ | সোমবার, ০২ জানুয়ারি ২০২৩
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain