| বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
ভূমিকা দেখে পুলিশকেই আসন্ন নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দী বলে মনে করছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। বলেন, ‘নির্বাচনে ধানের শীষের প্রতিদ্বন্দ্বিতা যেন আওয়ামী লীগের সাথে নয়, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নামে যারা আছেন তারাই যেন প্রতিদ্বন্দী।’
প্রচারণায় বাধা আর প্রার্থী গ্রেপ্তারের বিষয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অভিযোগের চিঠি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) যান আলাল। চিঠি দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপিনেতা। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান ও এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ একটি প্রতিনিধি দল।
আলাল বলেন, ‘আমাদের ওপর আক্রমণের পর আক্রমণ, যা খুশি তাই করা হচ্ছে। সরকার দলীয় এমপি, মন্ত্রীদের ও প্রার্থীদের পুলিশ ঠিকই নিরাপত্তা দিচ্ছেন, প্রটোকল দিচ্ছেন আর আমাদের প্রার্থীদের ধরছেন, পেটাচ্ছেন ও গ্রেপ্তার করছেন।’
‘বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুরের প্রার্থী ফজলুল হক মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রচারণা চলাকালে। উত্তরায় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারণা সভায় আ স ম আব্দুর রব ও মাহমুদুর রহমান মান্না যাচ্ছিলেন। সেখানে মঞ্চ ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। নেতাকর্মীদের মারধর করা হয়েছে।’
প্রচারণায় হামলা দেশের কম বেশি সবখানেই হচ্ছে দাবি করে আলাল বলেন, ‘ঢাকা-১, নরসিংদী-২, ময়মনসিংহ-২, ময়মনসিংহ-৩, ময়মনসিংহ-১১, মাগুরা-১, কুষ্টিয়া-৩, মাগুরা-১, মাগুরা-২, টাঙ্গাইল-৭, ফরিদপুর-২ ঢাকা-২, সিরাজগঞ্জ-৩, সিরাজগঞ্জ-২, পটুয়াখালী-১, মৌলভীবাজার -৩, বিবাড়ীয়া-২ ও ৩, নেত্রকোনা-৩, মানিকগঞ্জ-১ ও ৩, চাঁদপুর-৪, নওগাঁ-২ এবং রাজশাহী-৪ ও ৬ আসনে আওয়ামীলীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী আমাদের বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতা কর্মীদের উপর হামলা করেছে। প্রার্থীদের বাধা দিচ্ছে, নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা ও সভা পণ্ড করে দিয়েছে।’
‘ঢাকায় আমাদের প্রার্থী আফরোজা আব্বাসের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলার বিষয়টি সাংবাদিকরা দেখেছেন। আমাদের নির্বাচনী সভাগুলো প- করা হচ্ছে। আর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দাঁড়িয়ে দেখছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার বন্ধের দাবি ফলদায়ক হচ্ছে না। আমাদের পেটানোর জন্য সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেই দেখছি। সংলাপেও এসব বলা হয়েছে। আমাদের দাবি ছিল ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনা বাহিনী মোতায়েন করা।’
‘প্রথমে বলা হলো ১৫ ডিসেম্বর, আবার বলা হলো ২৪ তারিখ। এখন বলা হচ্ছে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোতায়েন করা হবে। আমরা বার বার বলেছি ভোটাররা যেন নির্বিঘেœ ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন। কিন্তু মাঠে থাকার ও ভোট করার যে গণতান্ত্রিক অধিকার তা সময় যতো গড়াচ্ছে কঠিন হয়ে পড়ছে। এ জন্য সেনা মোতায়েন দরকার।’
এলাকায় যেতে ইসির নিরাপত্তা চান মেজর হাফিজ
এদিকে নিরাপত্তার কারণে নিজেকে লঞ্চে উঠিয়ে দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছেন ভোলা-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ। গতকাল ইসিতে কমিশনার শাহাদত হোসেন চৌধুরীর কাছে লিখিত অভিযোগে তিনি এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তাহীনতার মুখে জীবন নিয়ে সদরঘাট থেকে ফিরে এসেছি। নইলে এখন হয়তো হাসপাতালের আইসিইউতে থাকতে হতো।’
গণমাধ্যমকে বিএনপিনেতা বলেন, ‘গত বুধবার তাসরিফ-৪ নামের লঞ্চে করে নির্বাচনী এলাকা ভোলার লালমোহনে যাওয়ার কথা ছিল। এজন্য সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সদরঘাটে যায়। সেখানে গিয়ে জানতে পারি ছাত্রলীগ-যুবলীগ লঞ্চের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। তারা লঞ্চটিকে মাঝ নদীতে নিয়ে যায় এবং ৪০টি কেবিন ভাঙচুর করে। আমাদের কর্মীদের মারধর করে। কোনোভাবে জীবন নিয়ে সদরঘাট থেকে ফিরে এসেছি।’
নিজেকে ছয় বারের এমপি উল্লেখ করে নিবাচনে কখনো হারেননি বলেও জানান বিএনপিনেতা। বলেন, ‘ইসির কাছে লঞ্চে ওঠার নিরাপত্তা দাবি করেছি। লঞ্চে উঠতে পারলে এলাকায় যেতে পারবো।
Posted ২২:২১ | বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain