| রবিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০১৪ | প্রিন্ট
৩০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা হত্যার দায়ে রক্ষী বাহিনী প্রধান তোফায়ের আহমদকে আইনের কাটগড়ায় দাড়াতে হবে
নিজস্ব প্রতিনিধি : বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভিতিও বার্তার প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমদের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র পক্ষ থেকে বলা হয়, স্বাধীনার পর সেনা বাহনী ধ্বংস করে রক্ষিবাহিনী গঠনের নায়ক তোফায়েল আহমদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। রক্ষিবাহনীর প্রধান হিসাবে তোফায়েল আহমদের নেতৃন্তে তখন ৩০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যাকান্ডের মূল নায়ক ছিলেন তোফায়েল আহমদ। তার নেতৃত্বেই রক্ষিবাহিনী সকল অপারেশণ পরিচালনা করেছে তখন। রক্ষিবাহিনীর প্রধান হিসাবে ৩০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা হত্যার দায়ে তোফায়েল আহমদকে একদিন আইনের কাটগড়ায় দাড়াতে হবে।
গতকাল লন্ডন সময় বিকাল ৫টায় পূর্বলন্ডনের ব্রীকলেনের একটি রেস্টুরেন্টে বিএনপি আয়োজিত সংসাদ সম্মেলনে একথা বলা হয়। তারেক রহমানকে নিয়ে তোফায়েল আহমদের বক্তব্যের প্রতিবাদে তাৎক্ষণিক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আবদুস সালাম। সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস, যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক বর্তমানের নাগরিক আন্দোলনের আহ্বায়ক এম এ মালেক, যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কয়সর আহমদ সহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তারেক রহমানের নাম শুনলেই তোফায়েল আহমদদের গায়ে আগুন ধরে যায়। অন্তরে জ্বালা শুরু হয় এবং শরীরে খিচুনি উঠে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র ধ্বংসকারী, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিনাসে ষড়যন্ত্রের নির্বাচন প্রতিহত এবং প্রতিরোধ করার জন্য দেশবাসীর প্রতি ভিডিও বার্তায় আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এই আহ্বান প্রচারিত হবার পর তোফায়েল আহমদ তারেক রহমানকে কটাক্ষ করে যেই বক্তব্য দিয়েছেন তা রুচিহীনতার পরিচয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তোফায়েল আহমদের বক্তব্যের মাধ্যমে আবারো ফুটে উঠেছে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে বিরোধী দলকে সহ্য করতে চায় না। তারা এক নায়কতান্ত্রিক শাসন কায়েম করতে চায় বাংলাদেশে। ১৯৭৫ সালেও তোফায়েল আহমদদের নেতৃত্বে শেখ মুজিবুর রহমানের এক নায়কতান্ত্রিক শাসন কায়েম হয়েছিল। আবারো শেখ মুজিব কন্যা শেখ হাসিনাকে তারা এক নায়কতান্ত্রিক শাসকের দিয়ে নিয়ে গেছেন। শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে ১৫ আগস্ট বাড়ি আক্রমনের পর তোফায়েল আহমদকে ফোন করা হয়েছিল রক্ষ্মিবাহিনী পাঠানোর জন্য। কিস্তু তোফায়েল আহমদের রক্ষ্মিবাহিনী শেখ মুজিবকে রক্ষায় এগিয়ে যায় নি। শেখ হাসিনাকেও এক নায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় উৎসাহিত করে তোফায়েল আহমদরা শেখ মুজিবের পথে ঠেলে দিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তারেক রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্রকে রক্ষার স্বার্থে নির্বাচনের নামে তামাশা প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছেন। দেশপ্রেমিক জনগনের প্রতি অনুরোধ থাকবে আসুন তারেক রহমানের আহ্বানে সারা দিয়ে তামাশার নির্বাচন প্রতিরোধের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে বাচিয়ে রাখি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তোফায়েল আহমদ বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক মামলা গুলো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু আওয়ামী আমলে দায়ের করা মামলায় আওয়ামী আদালতই তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তি প্রমান করা সম্ভব হয়নি। আদালত তাঁকে বেকসুর খালাস দেয়ার মাধ্যমে ইতোমধ্যেই প্রমানিত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সবই ছিল ষড়যন্ত্র মূলক মামলা। তামাশার নির্বাচন বর্জন ও প্রতিরোধের মাধ্যমে দেশ প্রেমিক জনগন আওয়ামী ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
উল্লেখ্য তারেক রহমানের ভিডিও বার্তা প্রচারিত হওয়ার পর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর কার্যায়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তোফায়েল আহমদ বক্তব্য রাখেন। এই বক্তব্যে তারেক রহমানকে কটাক্ষ করা হয় এবং আপত্তিকর সমালোচনা করা হয়।
Posted ১৭:৩০ | রবিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin