| বৃহস্পতিবার, ০২ মার্চ ২০১৭ | প্রিন্ট
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুকে জয়ী করতে কর্ম পরিকল্পনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বিএনপি। শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকেও সাক্কুর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেয়ার চিন্তা চলছে জানা গেছে। তবে সাক্কু বলছেন, তিনি চান না ঢাকার নেতারা তার হয়ে নির্বাচনী প্রচারে নামুক।
বিএনপির এই প্রার্থী বলন, ‘গত পাঁচবছর কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে যে কাজ করেছি তাতে আগামী নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে আমি আশাবাদী। তাই মনে করি ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের কষ্ট করে কুমিল্লা আসার দরকার হবে না। তবে কেউ আসলে ওয়েলকাম।
আগামী ৩০ মার্চ কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় নির্বাচনে ভোট হবে। ২০১১ সালে প্রথমবারের ভোটে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আফজাল খানকে সহজেই হারান সাক্কু। এবার নির্বাচন হচ্ছে দলীয় প্রতীকে, আর সাক্কু লড়বেন ধানের শীষ নিয়ে। এবার তার প্রতিদ্বন্দ্বী আফজাল খানের মেয়ে আঞ্জুম সুলতানা সীমা।
এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ২ মার্চ। মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৪ই মার্চ। ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ২লাখ ৭ হাজার ৫৬৬জন।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিএনপি মনিরুল হক সাক্কুকে মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে বিএনপি। পরে নিজ এলাকায় গিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সাবেক কুমিল্লার মেয়র।
নির্বাচনের প্রস্তুতি ও প্রত্যাশা নিয়ে সঙ্গে টেলিফোনে সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা হয় সাক্কুর। তিনি বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেছি। গত পাঁচবছর সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে তাদের পাশে ছিলাম। প্রায় পাঁচশ কোটি টাকার কাজ করেছি কুমিল্লায়।আমার সঙ্গে টোকেন দিয়ে কারো সাক্ষাত করতে হয়নি, সবাই সরাসরি আমার সঙ্গে সাক্ষাত করে কথা বলতে পেরেছে। তাই আশা করি এবারও কুমিল্লার মানুষ আমাকে মেয়র নির্বাচিত করে বাকি কাজ শেষ করার সুযোগ দেবে।’
দল থেকে মনোনয়ন পাওয়ায় ভোটে সুবিধা হবে এমনটা জানিয়ে সাক্কু বলেন, ‘আগে বিএনপির সঙ্গেই ছিলাম। কিন্তু নির্বাচন স্বতন্ত্রভাবে করতে হয়েছিল। এবার যেহেতু ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়বো আশা করি ফলাফল আমাদের পক্ষেই আসবে। তবে সুষ্ঠু হলে জনগণ যাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে তাই মেনে নিব।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রচার প্রচারণা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা সাক্কুর পক্ষে ভোট চাইতে কুমিল্লা সফর করবেন। চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ারও প্রচারণায় অংশ নিতে যাওয়ার আলোচনাও আছে। তবে এখনো এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
যদিও চেয়ারপারসনের কার্যাবলয় সূত্র বলছে, কুমিল্লায় খালেদা জিয়ার যাওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ নারায়ণগঞ্জে যাওয়ার জোর সম্ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যান্ত তিনি যাননি।
তবে কুমিল্লা নির্বাচনে দলের প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের নির্দেশনা দিচ্ছেন বিএনপি প্রধান।
চেয়ারপারসনসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রচারণায় অংশ নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে সাক্কু বলেন, ‘আমি মনে করি ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের কষ্ট করে যাওয়ার দরকার হবে না। তবে কেউ আসলে ওয়েলকাম। কারণ ২৭টি ওয়ার্ডে প্রচারণা চালানোর জন্য যে সময় পাওয়া যাবে তা যথেষ্ট নয়। এরমধ্যে কেন্দ্রীয় নেতারা গেলে তাদের সবকিছু দেখভাল ঠিকভাবে করা কষ্টকর হয়ে যাবে।
Posted ০৫:২৬ | বৃহস্পতিবার, ০২ মার্চ ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain