বুধবার ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুলাইয়ে ব্যাংকিং খাত সংস্কারের সিদ্ধান্ত

  |   বুধবার, ২৭ জুন ২০১৮ | প্রিন্ট

জুলাইয়ে ব্যাংকিং খাত সংস্কারের সিদ্ধান্ত

ডেস্ক রিপোর্ট:  জুলাইয়ে ব্যাংকিং খাত সংস্কারের সিদ্ধান্ত হবে। এ বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করেই সংস্কারে হাত দেয়া হবে। মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তাৎক্ষণিক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, নতুন বাজেটে ব্যক্তি করমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে না। ভবিষ্যতেও বাড়ানো হবে না। পাশাপাশি কর্পোরেট কর কাঠামোর কোনো পরিবর্তন হবে না। এ সময় প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বিরোধী দলের কিছু সদস্যের বক্তব্য দারুণ উগ্র বলেও মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।

ব্যাংকিং খাতে লুটপাট প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘লুটপাট মানে ব্যাংকের সম্পদ পরিচালকরা নিচ্ছেন। এমনটি হচ্ছে না। এক্ষেত্রে একটা খারাপ দিক রয়েছে। সেটি হচ্ছে- এক ব্যাংকের পরিচালক অন্য ব্যাংকের পরিচালকদের সঙ্গে সমঝোতা করে ঋণ নিচ্ছেন। কিছু কনফ্লিক্ট ইস্যু থাকা সত্ত্বেও আমি এক ব্যাংকের পরিচালক হয়ে অন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছি। এসব বিষয়ে জুলাইয়ের মধ্যে কিছু একটা করব। আমারা মোটামুটি ঠিক করে ফেলেছি। কিন্তু স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। সর্বশেষ হিসাব মতে, মার্চ শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৮ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা।’

এদিকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত করমুক্ত আয়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে আড়াই লাখ টাকা। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তির আয় আড়াই লাখ টাকার বেশি হলেই তাকে আয়কর দিতে হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বুধবার খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর এদিন প্রথমবারের মতো বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জাতীয় সংসদে ২৮ জুন বাজেট পাস হবে। আর ২৭ জুন পাস হবে অর্থবিল।

বাজেটে কোনো পরিবর্তন আসবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, না বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন তো হয় না। এখন এ বিষয়ে আমি কাজ করছি। এগুলো খুব বড় কিছু না।

মোবাইল বা ইন্টারনেটে ভ্যাট কমানোর কোনো উদ্যোগ থাকছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, মোবাইলে তো আমার প্রস্তাবই অত্যন্ত ভালো। আইসিটির বেশিরভাগ ট্যাক্সই ৫ শতাংশ। আর বাকি সব শূন্য এই ধরনের। এ বিষয়ে আইসিটি তো খুব সন্তুষ্ট। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়েছে।

এদিকে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বিরোধী দলের সমালোচনার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের কথা বেখাপ্পা মনে হয়। এটি যথাযথ নয়। তারা বিরোধী দল, ঠিক আছে। তবে এটা মনে রাখা উচিত বিরোধী দল হলেও সরকারের অংশ। তাদের দলের সংসদ সদস্যরাও প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে অনুমোদন দিয়েছেন। সুতরাং এটা আমার একার বাজেট নয়।’ বিরোধী দলে থাকলেও জাতীয় পার্টি যে সরকারেরও অংশ, সেটা মনে রাখতে দলটির নেতাদের পরামর্শ দেন তিনি, ‘বিরোধী দল হিসেবে তাদের একটা ভূমিকা রাখা প্রয়োজন, এর সঙ্গে এটাও মনে রাখা উচিত যে বিরোধী দল হলেও আপনারা কোয়ালিশনের অংশ, এটা বক্তারা ভুলে যান।’ মন্ত্রী বলেন, ‘মোস্ট অব দ্য টাইম আমি নিজে (সংসদে) ছিলাম। আমি না থাকলেও আমি তাদের বক্তব্য শুনেছি। সেখানে তারা এমন একটা ভাব দেখিয়েছেন যে তারা এর কোনো পার্টি না। দ্যাটস নট ট্রু, দে আর কেবিনেট মেম্বারস। দিজ বাজেট হ্যাজ বিন অ্যাপ্রুপড বাই দ্য কেবিনেট, এটা শুধু আমার বাজেট নয়।’ সম্পূরক বাজেট নিয়ে আলোচনায় জাতীয় পার্টির কয়েকজন সংসদ সদস্য অর্থমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেন। সূত্র: যুগান্তর

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৫:০৭ | বুধবার, ২৭ জুন ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com