বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার ও ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করতে নতুন কমিশন গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে একটা নতুন কমিশন গঠন করা হবে। জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার ও হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা ষড়ন্ত্রকারী তাদের খুঁজে বের করা হবে।

আজ(১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের প্রতিষ্ঠাতা মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর এসব কথা বলেন তিনি।

ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকের এই দিনে আমরা শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে। যিনি একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে একটি বহুদলীয় গণতান্ত্রিক সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদের নতুন দর্শনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেছেন।

‘প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই দল গঠনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছেন। সূচনা করেছিলেন গণতন্ত্রের অধ্যায়। তিনি সূচনা করেছিলেন মুক্তবাজার অর্থনীতি। সূচনা করেছিলেন সংবাদপত্রের স্বাধীনতার। এছাড়া সূচনা করেছিলেন মানুষের মুক্তি মানুষের স্বাধীনতা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা এই দিনটিতে পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করতে চাই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের বর্তমান চেয়ারপারসন যিনি গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সারাটা জীবন সংগ্রাম করছেন এবং এখনও সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।

বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, ‘একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে দেশকে মুক্ত করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়া বিএনপির সামনের দিনের চ্যালেঞ্জ। কারণ অনির্বাচিত সরকার হত্যা, গুম, খুন ও নির্যাতন করে জনগণের ন্যায় দাবির আন্দোলন নস্যাৎ করতে চায়। কিন্তু আমাদের পরিষ্কার কথা জনগণের ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন, হত্যা, গুম, খুন করেও নস্যাৎ করা যাবে না। তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। জনগণের বিজয় হবেই।

ফখরুল বলেন, ‘অত্যান্ত লজ্জা ও ঘৃণার সঙ্গে আমরা বলতে চাই গত কয়েকদিনে এই ফ্যাসিবাদী সরকার জনগণের ন্যায্য আন্দোলন জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ দমনের জন্য নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হচ্ছে।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ডক্টর আব্দুল মঈন খান, আমির খসর মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজান ওমর, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুন নবী খান সোহেল, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়ামের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার ও বিএনপি মিডিয়ার সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।