| সোমবার, ০৩ এপ্রিল ২০১৭ | প্রিন্ট
জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের দুই শিক্ষার্থীকে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে মীর মশাররফ হোসেন হল শাখা ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে।
শনিবার রাত দশটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক-জব্বার হলের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগের প্রস্তুতি নিলে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী বিষয়টি মীমাংসা করেছেন বলে জানা গেছে।
জানা যায়, শনিবার রাত দশটার দিকে শহীদ রফিক-জব্বার হলের পার্শ্ববর্তী দোকানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সাগর ও হাসানুল আলম রুবেল (ইংরেজি-৪১তম আবর্তন) বসে চা খাচ্ছিলেন। এসময় মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রলীগ কর্মী সিয়াম আহমেদ রাতুল (জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-৪৩ তম আবর্তন) সাগরকে ধাক্কা দিয়ে পাশে বসে। এ বিষয় নিয়ে তারা বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে তাদের মধ্যে সমঝোতা হয় এবং ছাত্রলীগ কর্মী রাতুল স্থান ত্যাগ করেন। কিছুক্ষণ পর রাতুল তার হলের ৫-৬ জন শিক্ষার্থীকে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে এসে ঐ স্থানে সাগর ও রুবেলকে মারধর করেন। এদের মধ্যে ছাত্রলীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন (রসায়ন-৪৪ তম অবর্তন) এর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
মারধরের সময় তাদের কাছ থেকে একটি মানিব্যাগে থাকা দেড় হাজার টাকা, একটি আইফোন ও একটি হুয়াওয়ে মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন দুই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
সাগর অভিযোগ করে বলেন, ‘তারা পরিকল্পিতভাবে মোবাইল ও মানিব্যাগ ছিনতাই করেছে। আমরা যখন বিকাশ থেকে টাকা উঠাচ্ছিলাম তখন থেকেই রাতুল আমাদের টার্গেট করে রেখেছিল।’
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ কর্মী রাতুল ও দেলোয়ারের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও উভয়েরই ফোনই বন্ধ পাওয়া গেছে।
ওই ঘটনার পর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টর ও সংশ্লিষ্ট হল প্রভোস্টের কাছে দেওয়ার জন্য একটি লিখিত অভিযোগ প্রস্তুত করেন। কিন্তু রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের হস্তক্ষেপে বিষয়টির মীমাংসা হয়। সেখানে ছিনতাই হওয়া টাকা ও ফোন ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, ‘দুই ছাত্র আমার কাছে অভিযোগ করেছিল। বিষয়টি এখন প্রাথমিকভাবে মীমাংসা হয়েছে।
Posted ০৫:৫২ | সোমবার, ০৩ এপ্রিল ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain