| বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২ | প্রিন্ট
বিনোদনের জগতে ফের নক্ষত্রপতন। টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় আর নেই।
জানা গেছে, বুধবার (২৩ মার্চ) রাতে একটি চ্যানেলের শুটিংয়ে ছিলেন অভিনেতা। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ অবস্থাতেই ফিরে যান বাড়িতে। রাতে বাড়িতেই শুরু হয় চিকিৎসা। স্যালাইন দেয়া হয়। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল না। রাত ১টা নাগাদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। মৃত্যুকালে অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর।
নব্বইয়ের দশকে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা ছিলেন অভিষেক। এক সময় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তাপস পালদের সঙ্গে একসারিতে নাম উঠে আসত তাঁর। উৎপল দত্ত, সন্ধ্যা রায়ের মতো প্রতিভাশালী অভিনেতাদের সঙ্গে পর্দায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। কাজ করেছেন শতাব্দি রায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মতো সমসাময়িক প্রথম সারির অভিনেত্রীদের সঙ্গেও চুটিয়ে কাজ করেছেন।
১৯৬৪ সালের ৩০ এপ্রিল জন্ম অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের। ১৯৮৬ সালে তরুণ মজুমদারের ছবি ‘পথভোলা’ দিয়ে সিনেমায় যাত্রা শুরু। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলি হল, ‘দহন’, ‘বাড়িওয়ালি’, ‘মধুর মিলন’ , ‘মায়ের আঁচল’, ‘আলো’,’নীলাচলে কিরীটি’। শুধু বড় পর্দা নয় ছোট পর্দাতেও তিনি সমানভাবে সাবলীল অভিনয় করে দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছেন।
তবে একাধিক ছবতে সাফল্য পেলেও, নায়ক থেকে একসময় পার্শ্বনায়কের চরিত্রেই বেশি দেখা যেত অভিষেককে। মাঝে দীর্ঘ সময় টলিউড থেকে অনুপস্থিতও ছিলেন তিনি। সেই নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কয়েক বছর আগে আক্ষেপের সুর ধরা পড়ে তাঁর গলায়। প্রথম সারির অভিনেতা হয়েও বঞ্চনার শিকার হতে বলে অভিযোগ করেন। জানান, একের পর এক ছবি থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল তাঁকে, তা-ও টলিউডের রাজনীতির জন্য। সেই সময় যাত্রা, মাচা করে সংসার চালাতে হয় তাঁকে।
তার পরে গত কয়েক বছর ধরে টেলিভিশনে চুটিয়ে অভিনয় করছিলেন অভিষেক। ‘ইচ্ছেনদী’, ‘পিতা’, ‘অপুর সংসা’, ‘অন্দরমহল’, ‘কুসুম দোলা’, ‘ফাগুন বউ’, ‘খড়কুটো’র মতো সিরিয়ালে তাঁর অভিনয় মন জিতে নিয়েছিল দর্শকের। আচমকা তাঁর মৃত্যুর এই খবরে শোকস্তব্ধ বাংলার বিনোদন জগৎ।
অভিনেতা লাবনী সরকার জানিয়েছেন, তার খুবই কাছে বন্ধু ছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। এই রকম একটি মুহূর্ত কখনও আসবে তা তিনি ভাবতে পারেননি বলেই জানিয়েছেন।
Posted ০৪:২৫ | বৃহস্পতিবার, ২৪ মার্চ ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain