| শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে মামলার বিচার কাজ চলানো বেআইনি, তার প্রতি অবিচার করা যা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার সকালে দলটির চেয়ারপারসনের রাজনৈতি কার্যালয়ে গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় কারাগারে স্থানান্তরিত আদালত রায় দিয়েছে, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিচার কাজ চলবে। এটা বেআইনি, তার প্রতি অবিচার, এটা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। খালেদা জিয়া অসুস্থ, তিনি হাটতে পারেন না, অথচ তাকে চিকিৎসা না দিয়ে আদালতকে কারাগারে স্থানান্তরিত করে বিচার কাজ পরিচালনা করছে। অথচ আইনে বলা আছে বিচার কাজ চলতে হবে অভিযুক্ত ব্যক্তির সামনে। কিন্ত আদালত আদেশ দিলো তার অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ চলবে।
তিনি বলেন, আদালতের এ আদেশ জনগণ মেনে নিতে পারছেনা। এ আদেশ পরিবর্তন হওয়া জরুরী। আমরা আবারও দাবী জানাচ্ছি খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতলে চিকিৎসা দেয়া হোক।
ফখরুল বলেন, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে সারা দেশে গায়েবী মামলার সংখ্যা ৩৭০৬ টি, আর এজাহারে নাম আসছে ৩ লক্ষ ১৩ হাজারের বেশি, আর অজ্ঞাতনামা আসামী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭৩০ জন, আটক করা হয়েছে ৩ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি।
এ বিষয়ে সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, মূলত নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও বিরোধী মতকে বাহিরে রাখতে সরকার বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নামে গায়েবী মামলা দিয়ে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছে। অথচ নির্বাচনের আগ মুহূর্তে পৃথিবীর কোনো দেশে এমন গায়েবী মামলা দায়ের করে না। বিশ্বের যেকোনো দেশে নির্বাচনের সময় জনগণ কে নির্বাচন মুখি করা হয়। অথচ বাংলাদেশে সরকার নিজেদের অবৈধ ক্ষমতা দখলে রাখতে বিরোধী দলের নেতাকর্মী সমর্কদের নামে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। যাতে আবারো ৫ জানুয়ারি মত নির্বাচন করে ক্ষমতায় যায়৷
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, এই আইন করা হলো যাতে কেউ আর সরকারের অপশাসন, অন্যায় দুনীতির বিরুদ্ধে কথা বলতে না পারে। এ আইনে কোনো সরকারী কর্মকর্তার গোপন তথ্য, বা দুনীতির খবর প্রকাশ করলে ১৪ বছরের কারাদন্ড ও ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা। তাহলে বলেন গণতন্ত্র কোথায়? সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, রফিকুল ইসলাম মিয়া, নজরুল ইসলাম খান, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।
Posted ১৪:৪১ | শুক্রবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain