| বুধবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। রাষ্ট্র পরিচালনায় অভিন্ন অবস্থান তৈরির ঘোষণা নিয়ে প্রণীত হচ্ছে এই ইশতেহার। ইশতেহার প্রণয়ন কমিটিতে রয়েছেন বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবীরা। ইশতেহারে শরিক সব দলের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া হবে বলে জানালেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। – ডিবিসি নিউজ
৩টি স্লোগানকে ভিত্তি ধরে এই ইশতেহার তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কমিটির সদস্য সিনিয়র সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ। তিনি বলেন, ‘সামনে যে রাজনীতি হবে, সে রাজনীতি হবে ঐক্যমতের রাজনীতি, সৌহার্দ্যপূর্ণ রাজনীতি, যাতে আমরা সবাইকে নিয়ে পথ চলতে পারি এবং প্রতিহিংসার রাজনীতি নয়। এছাড়া এর বাইরে দুই-একটির ক্ষেত্রে চমক থাকবে, যেগুলো এখনও অনেকের কল্পনার বাইরে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ১১ দফার আলোকেই তৈরি হবে ইশতেহার, যার মূললক্ষ্য হবে গণতন্ত্র। তিনি বলেন, ‘সুশাসন, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, বৈষম্য দূরীকরণ বিশেষ করে অর্থ বৈষম্য যেটি আছে, বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানসহ একটি গণতান্ত্রিক সমাজ বিনির্মাণের যে অঙ্গীকার তারই আলোকে ইশতেহারটি তৈরি করা হচ্ছে।’
ইশতেহারে কার্যকর সংসদ, সরকারের জবাবদিহিসহ সুশাসন ফিরিয়ে আনার ওপর জোর দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন,‘সকল দলের যেসব প্রস্তাবনা আছে সেগুলো আমরা নিয়েছি। এখন সেগুলো নিয়ে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এছাড়া যদি কোনো নতুন কিছু থাকে, যেগুলো মিলে যাবে সেগুলোতে কোনো সমস্যা নেই, আর যেগুলো নিয়ে দ্বিমত আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে আমরা নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করছি।’
৭ দিনের মধ্যেই ইশতেহার চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার জাফরউল্লাহ চৌধুরী এই ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
Posted ১৫:৪৮ | বুধবার, ২৮ নভেম্বর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain