| শুক্রবার, ১৩ মার্চ ২০২০ | প্রিন্ট
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে সারাদেশে প্রচারপত্র বিলি করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের মহানগর ও সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে প্রচারপত্র তুলে দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করেন।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনাভাইরাস যাতে সংক্রমিত না হয় সেজন্য পূর্ব সর্তকতা হিসেবে করণীয় উল্লেখ করে আমরা বাংলাদেশে হ্যান্ডবিল বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজকে আমরা ঢাকা মহানগর ও দলের সহযোগী সংগঠনগুলোকে ডেকেছি। তারা হ্যান্ডবিল এখান থেকে নিয়ে যাবেন।’
‘আমরা হ্যান্ডবিল বিভিন্ন জেলা পর্যায়েও পাঠাচ্ছি। তৃণমূল পর্যন্ত এই ক্যাম্পিং চালিয়ে যেতে চাই। আমাদের পার্টি, সহযোগী সংগঠনগুলো সতর্কতামূলক কর্মসূচি নিয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা যেমন সতর্কতামূলক কর্মসূচি নিয়েছিলাম, তেমনি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে আমরা দেশের জনগণকে সতর্ক করতে কর্মসূচি নিয়েছি,’ বলেন কাদের।
করোনাভাইরাস নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির রাজনীতি করার কোনো বিষয় নেই বলে তারা সব বিষয় নিয়ে রাজনীতি করে। তাদের একটাই উদ্দেশ, ক্ষমতায় গিয়ে লুটপাট করা।
করোনা প্রতিরোধে সরকারের প্রস্তুতির ঘাটতি নেই জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কিছু কিছু যন্ত্রপাতির সমস্যা থাকতে পারে, কিন্তু সেটি সমাধান হয়ে গেছে। এখন করোনা প্রস্তুতিতে কোনো কিছুরই ঘাটতি নেই।’
তিনি বলেন, ‘করোনা চীন থেকে শুরু হয়ে এখন বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। এজন্য সারাবিশ্ব আজ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। আমাদের দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুরু থেকেই দেশবাসী ও জনগণকে সচেতন করছেন। করোনাভাইরাস নিয়ে আমাদের ক্যাম্পেইন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শুরু করেছেন এবং সরকারের যে মন্ত্রণালয় রয়েছে তার সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিয়েছি। ’
‘আমাদের দেশে এরইমধ্যে ইতালিফেরত প্রবাসী বাঙালিরা সুস্থ হয়ে গেছেন। আরেকজন সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি সুস্থ আছেন। কাজেই আমাদের দেশে এই সংখ্যাটি এখনো সেভাবে আসেনি। আমাদের সতর্কতা আছে, যাতে এই সংকট এখানে সেভাবে তৈরি না হয়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দেশে যাতে এই রোগটি বিস্তার লাভ না করতে পারে, বাংলাদেশ যাতে সংক্রমিত হতে না পারে, সেজন্য যেসব সচেতনতা দরকার, সে বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং দেশবাসীকে জানাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেই একজন ক্যাম্পেইনার হয়ে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ সংক্রান্ত করণীয় নিয়ে, তার প্রতিদিনের বক্তৃতায় বলে যাচ্ছেন। এতে সতর্কতামূলক একটা আবহ দেশে তৈরি হয়েছে। ‘
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপসহ দলের অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
Posted ১৪:৪৫ | শুক্রবার, ১৩ মার্চ ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain