শুক্রবার ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘এই নিষ্ঠুর আচরণ কিসের ইঙ্গিতবাহী?’

  |   সোমবার, ০৭ জানুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট

‘এই নিষ্ঠুর আচরণ কিসের ইঙ্গিতবাহী?’

প্রায় ২১ থেকে ২২ দিন অতিক্রান্ত হলেও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাথে তাঁর নিকটাত্মীয়দের দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বন্দিদের যে আইনসম্মত অধিকার তা থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে খালেদা জিয়াকে। এই নিষ্ঠুর আচরণ কিসের ইঙ্গিতবাহী?

আজ সোমবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশাল লাল দেয়ালের মধ্যে রুদ্ধকপাট মুক্তিহীন বেগম জিয়াকে অন্তরীণ রেখে বাইরের দুনিয়া থেকেও সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করার পাঁয়তারা চলছে। ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে দেয়ার যে কারাবিধান সেটিকে গায়ের জোরে লঙ্ঘন করাটা বেগম জিয়াকে নিয়ে সরকারের আরেকটি নতুন কোন খারাপ পরিকল্পনা কি না তা নিয়ে প্রশ্নবোধক চিহ্নটা আরও দীর্ঘতর হচ্ছে।

পৃথিবীর কোন নিষ্ঠুর স্বৈরতান্ত্রিক দেশেও বন্দিদের সঙ্গে এরুপ দুর্ব্যবহার করা হয় না, যা করা হচ্ছে দেশনেত্রী বেগম জিয়ার ওপর।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আত্মীয়স্বজন ও দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাক্ষাতের জন্য বারবার আবেদন করার পরেও কারা কর্তৃপক্ষ তাতে কোন কর্ণপাতই করেনি। কারাবিধি অনুযায়ী ৭ দিন পরপর বন্দিদের সঙ্গে সাক্ষাতের নিয়ম। অথচ বেগম জিয়ার ক্ষেত্রে এই বিধান করা হলো ১৫ দিন পরপর। এখন সেই ১৫ দিনের বিধানকেও সরকারের নির্দেশে কারাকর্তৃপক্ষ অগ্রাহ্য করছে।

বেগম জিয়ার ওপর এই মানসিক নির্যাতনের উদ্দেশ্যই হচ্ছে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নানাভাবে পর্যুদস্তু করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনারাই অংশ। বেগম জিয়ার সাথে তাঁর নিকটাত্মীয়দের দেখা করতে না দেয়াটা রীতিমতো কঠিন মানসিক নির্যাতন। এ নিয়ে শুধু তাঁর আত্মীয়স্বজনরাই নয়, দেশবাসী উদ্বেগাকুল ও উৎকন্ঠিত। অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তাঁর আত্মীয়স্বজনদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

বিএনপির এই নেতা বলেন, নির্বাচন পূর্বাপর ব্যাপক সহিংসতা, রক্তপাত, ধানের শীষের প্রার্থীদের ওপর গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করা, ধানের শীষের নেতাকর্মী-সমর্থকদের ওপর নির্বিচারে আক্রমণ করে রক্তাক্ত করাসহ ধানের শীষের প্রার্থীসহ নেতাকর্মীদেরকে পাইকারি হারে গ্রেপ্তার, আদালতকে ব্যবহার করে প্রার্থীতা বাতিলসহ ভোটের নামে নিষ্ঠুর তামাশায় শুধু দেশবাসীই নয় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও ক্ষুদ্ধ ও প্রতিবাদে সোচ্চার। মানুষের ভোটাধিকার হরণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ন্যাক্কারজনক ভূমিকায় দেশবাসী হতবাক ও ক্ষুদ্ধ। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন জনগণের ললাটে এক বিষাক্ত কাঁটা।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা নাজমুল হক নান্নু,শাহিদা রফিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমুখ।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৩:০০ | সোমবার, ০৭ জানুয়ারি ২০১৯

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com