| সোমবার, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে উনসত্তরের চেতনায় রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
সোমবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, ২৪ জানুয়ারি আমাদের জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর ১৯৬৯ সালের এ দিনে পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা দৃঢ় প্রতিরোধ গড়ে তোলে। গণআন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে পরিণত হয়েছিল গণঅভূত্থানে। পতন নিশ্চিত হয়েছিলো সামরিক স্বৈরশাসকের। আর এরই ধারাবাহিকতায় উন্মুক্ত হয়েছিলো আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পথ। গণঅভ্যূত্থানের মূল মানস বা মেজাজ ছিল স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তন, বহুদলীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম, বহুমত এবং চিন্তার চর্চা ও মানুষের নাগরিক স্বাধীনতা ফিরে পাওয়া।
তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিক গণঅভূত্থান দিবস উপলক্ষে আমি ঊনসত্তরের গণআন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আত্মদানকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করি।’
বাণীতে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমাদের জাতীয় জীবনে ঊনসত্তরের গণঅভূত্থানের তাৎপর্য অপরিসীম। এ দিবস আমাদের গণতন্ত্র ও স্বাধিকার অর্জনের চেতনাকে শাণিত করে এবং সকল অন্যায় অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে আজও অনুপ্রেরণা জোগায়।
কারণ এখন আবারো একদলীয় স্বেচ্ছাচারী শাসন কায়েম করা হয়েছে, গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাক, ব্যক্তি ও চিন্তার স্বাধীনতা এখন গুম করে ফেলা হয়েছে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একতরফা ভোটারবিহীন নির্বাচন করে ভোট দিয়ে ভোটারদের নিজের পছন্দমতো প্রতিনিধি বাছাই করার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।
Posted ১০:০০ | সোমবার, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain