| বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
নারায়ণগঞ্জে ২ আসনের বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদের গণসংযোগে হামলা করা হয়েছে। এসময় ধাঁরালো অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটার নিয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক আড়াইহাজার পুরিন্দা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অনেকেই স্থানীয় বিভিন্ন সেবা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। এতে ছয়টি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন-অপু, রুহুল আমিন, জুবায়ের, সবুজ, বর্ষন, শামীম, মুছা, জলিল, জামাল, রনি ও আউয়াল। এদের মধ্যে জুবায়ের, নাজমুল, সবুজ ও আউয়ালসহ তিনকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান জানান, আজাদের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা গাড়ি বহর নিয়ে সাতগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করছিলেন। এসময় পুরিন্দা বাজার এলাকায় পৌঁছলে বহরে থাকা পাঁচটি মাইক্রোবাস আটক করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বাধা দিলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এসময় ধাঁরালো অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটার আঘাতে বিএনপির অন্তত ২০জন কর্মী-সমর্থককে গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আড়াইহাজার থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, দুই দলের প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে উত্তেজনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলের আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে সোনারগাঁ উপজেলায় আইন-শৃঙ্খলা সভায় নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের ওপর হামলা চালিয়েছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। ঘটনার পর হামলাকারী সোনারগাঁও পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইকরামুল হাসান ওরফে রনি বিল্লাহকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে তিনমাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আয়োজিত নির্বাচনী আচরণবিধি বিষয়ক আইন-শৃঙ্খলা সভায় সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. শাহীনুর ইসলাম ও সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলমের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
অপরদিকে আইন-শৃঙ্খলা সভায় বিএনপির প্রার্থীর ওপর ছাত্রলীগ নেতার হামলার ঘটনায় সোনারগাঁও থানার ওসি মোরশেদ আলম, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. সেলিম মিয়া ও সেকেন্ড অফিসার সাধন চন্দ্র বসাককে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান।
Posted ২২:১৩ | বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain